জকসু নির্বাচনের পথরেখা ও বৃত্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের ষষ্ঠ দিনের অবস্থান

জকসু নির্বাচনের সুস্পষ্ট পথরেখা ও সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি। ২৭ আগস্ট, ২০২৫প্রথম আলো

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের পথরেখা ঘোষণা এবং আবাসন খাতে সম্পূরক বৃত্তির দাবিতে ষষ্ঠ দিনের দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি চালিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এই দুই বিষয়ে সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চালাবেন তাঁরা।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের নিচে সকাল থেকে অবস্থান নিয়ে ষষ্ঠ দিনের মতো কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত সেখানে তাঁদের এ অবস্থান চলে।

শিক্ষার্থীদের দুই দফা দাবি হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি ঠিক কবে থেকে কার্যকর হবে, তা নিশ্চিত করতে হবে এবং জকসুর নীতিমালা অনুমোদন, তফসিল ঘোষণাসহ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট পথরেখা (রোডম্যাপ) ঘোষণা করতে হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘ভিসি স্যার জানেন না নাকি, আমরা এখানে বসে গেছি’, ‘করছি করছি বাদ দাও, কবে হবে বলে দাও’, ‘জকসু আমার অধিকার, রুখে দেওয়ার সাধ্য কার’, ‘আবাসন বৃত্তি দিতে হবে, দিয়ে দাও’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় জকসু সংবিধির প্রস্তাব গৃহীত হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আগামী রোববার ইউজিসিতে পাঠানো হবে। গত বুধবার থেকে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক বন্ধের দিন থাকায় আন্দোলন বন্ধ থাকে। ফলে রোববার থেকে পুনরায় শুরু হয়ে ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন চলল।

অবস্থান কর্মসূচির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী ফেরদৌস শেখ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আমাদের বহুল আকাঙ্ক্ষিত সম্পূরক বৃত্তি নিয়ে স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা প্রশাসন থেকে এখন পর্যন্ত পাইনি। জকসু নিয়ে স্পষ্ট কোনো রোডম্যাপ প্রশাসন আমাদের দিতে পারেনি। সম্পূরক বৃত্তি নিয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা এবং জকসুর রোডম্যাপ পাওয়ার আগপর্যন্ত আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলতে থাকবে।’

লাগাতার কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রশাসন গতকালকে সিন্ডিকেটে জকসুর নীতিমালা অনুমোদন করেছে কিন্তু আইন পাস, তফসিলসহ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেনি। সম্পূরক বৃত্তির ব্যাপারেও তারা স্পষ্ট কিছু জানায়নি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, জকসুর সংবিধি মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন শেষে তা আগামী রোববারের মধ্যে ইউজিসিতে পাঠানো হবে। পরবর্তী ধাপে এটি সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হবে। অনুমোদিত সংবিধি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জকসু নির্বাচন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নেবে।