একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থাকে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০২৩ উপলক্ষে ইউনেসকো, প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে গত শুক্রবার এ আহ্বান জানান।
সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল পর্যাপ্ত অর্থায়নের মাধ্যমে যুব ও প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে এসডিজির টার্গেট ৪ দশমিক ৬ অর্জন করা। যা জীবনব্যাপী শিক্ষার সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার উপায়গুলো অন্বেষণ করার যত প্রোগ্রাম, বিষয়বস্তু ও অনুশীলনগুলো কার্যকর করবে। সম্মেলনে ইউনেসকোর শিক্ষাবিষয়ক এডিজি, এমএস স্টেফানিয়া জিয়ানিনি এবং সেনেগাল, বেনিন ও ইকুয়েডরের শিক্ষামন্ত্রীরাও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ট্রান্সফরমিং এডুকেশনের উচ্চপর্যায়ের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান শিক্ষার ক্ষেত্রগুলোকে একটি সমন্বিত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতির মাধ্যমে সমৃদ্ধ ও রূপান্তরিত করতে হবে; যাতে সাক্ষরতা অর্জন করতে কেউ পিছিয়ে না থাকে। আমাদের বিশ্ব, সমাজ, জাতিতে দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য শিক্ষাই শ্রেষ্ঠ আশা। আমাদের সমাজের সচেতনতাসহ সমালোচনামূলক মন আছে—এমন দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সাহায্য করতে হবে।
সাক্ষরতা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার জন্য স্টেকহোল্ডার ও সম্প্রদায় বিশেষ করে যুবকদের সম্পৃক্ত করার ধারণাটি চালু করার কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তাদের রূপান্তরমূলক ভূমিকা টেকসই ও শান্তিপূর্ণ সমাজের ভিত্তি গড়ে তুলবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাক্ষরতা এই সবকিছুর পূর্বশর্ত হিসেবে কাজ করে, কারণ এটি শিক্ষার প্রবেশদ্বার।
শিক্ষামন্ত্রী সম্মেলনে সাক্ষরতা প্রসারে বাংলাদেশে গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের সাক্ষরতা মূল্যায়ন সমীক্ষায় সাক্ষরতার হার ২০১১ সালে ৫৩ দশমিক ৭০ থেকে ২০২৩ সালে ৭৩ দশমিক ৬৯ শতাংশে উন্নীত হওয়ার আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা জীবনব্যাপী শেখার জন্য পলিসিতে মৌলিক সাক্ষরতার ওপর গুরুত্বারোপ করছি। এটি সাক্ষরতাকে মৌলিক দক্ষতার বিকাশ এবং জীবনব্যাপী শেখার সুযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করে করা হবে।’