জার্মানিতে পড়াশোনা করতে চান, দেখুন কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ের সেরা শিক্ষার্থীবান্ধব শহর

ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) উচ্চশিক্ষা নানা বিষয়ে র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার সেরা শিক্ষার্থীবান্ধব শহরের র‍্যাঙ্কিং ঘোষণা করেছে। কিউএস ২০২৬ সালের তালিকায় দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল শীর্ষে আছে। এবারের তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হলো আগেরবারের (২০২৫ সাল) শীর্ষস্থানে থাকা লন্ডন এখন তৃতীয় স্থানে নেমে এসেছে। তবে এবারের প্রতিবেদনে দেখব, উচ্চশিক্ষায় কীভাবে জার্মানি অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে আর পড়াশোনায় দেশটির সেরা ১০ গন্তব্য কোন কোন শহর।

কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডস (কিউএস) এই র‍্যাঙ্কিং তৈরি করেছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীবান্ধব শহরগুলোর মূল্যায়ন করে। যেমন আকর্ষণীয় শহর, জীবনযাত্রার ব্যয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণমান, শিক্ষার্থীদের মধ্য বৈচিত্র্য, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে কর্মসংস্থানের সুযোগ।

আরও পড়ুন

জার্মানি এখন উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে অনেকে শিক্ষার্থীর কাছে। দেশটিতে পড়াশোনার একটি বড় সুবিধা হলো বেশির ভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য স্নাতক পর্যায়ে কোনো টিউশন ফি নেই। যদিও ভিসা জটিলতার কারণে জার্মানি যেতে না পেরে বাংলাদেশি অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস করছেন। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, জার্মানিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের হার ১৩ শতাংশ। তাঁদের মধ্যে ভারতীয় ৪২ হাজার ৫৭৮ জন, যা সর্বোচ্চ। এরপরই আছে চীন, দেশটির ৩৯ হাজার ১৩৭ শিক্ষার্থী জার্মানিতে পড়াশোনা করছেন।

জার্মানিতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই টিউশন ফি
ফাইল ছবি

শুধু বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়; বরং কম খরচে শিক্ষা, উচ্চ জীবনমান, কর্মজীবনের সম্ভাবনা, শিক্ষার্থীদের জন্য বৈচিত্র্যময় পরিবেশসহ কয়েকটি কারণেই জার্মানি শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন

কিইউএস বেস্ট স্টুডেট সিটিজ র‍্যাঙ্কিং ২০২৬ অনুযায়ী জার্মানির যেসব শহর পড়াশোনার জন্য সেরা, সেগুলো হলো—

১. মিউনিখ

মিউনিখ বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিংয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। এ শহর উচ্চ চাহিদা, নিয়োগদাতাদের কার্যক্রম ও সামগ্রিকভাবে সহনীয় খরচের জন্যই পরিচিত।

এ শহরের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ (কিউএস র‍্যাঙ্কিং: ২২), লুডভিগ-ম্যাক্সিমিলিয়ানস ইউনিভার্সিটি (কিউএস র‍্যাঙ্কিং: ৫৮)। মিউনিখে জীবনযাত্রার খরচ কিছুটা বেশি হলেও এর চমৎকার অবকাঠামো ও জীবনমান শিক্ষার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় শহর করে তুলেছে। শহরটি বিএমডব্লিউ, অ্যালিয়াঞ্জের মতো বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর হওয়ায় কর্মজীবনের সম্ভাবনা বেশি এখানে।

২. বার্লিন

এ শহরের গ্লোবাল র‍্যাঙ্ক ৭ নম্বরে। বার্লিন কিউএস র‍্যাঙ্কিংয়ে আছে সপ্তম অবস্থানে। শহরটির তিনটি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় হলো ফ্রাইয়ুয়েন ইউনির্ভারনিটি, বার্লিন (কিউএস র‍্যাঙ্কিং ৮৮), হামবোল্ডট ইউনিভার্সিটি জু বার্লিন (কিউএস র‍্যাঙ্কিং: ১৩০) ও টেকনিশে ইউনিভার্সিটি বার্লিন (কিউএস র‍্যাঙ্কিং: ১৪৫)।

সমৃদ্ধ সংস্কৃতি, তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী শিক্ষা ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব বার্লিন শহরটিকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করেছে।

৩. স্টুটগার্ট

বাডেন-ভুর্টেমবার্গের রাজধানী স্টুটগার্ট শহরটির বৈশ্বিক র‍্যাঙ্ক ১১৯। স্টুটগার্ট শহরটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ শহরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৭ শতাংশই বিদেশি শিক্ষার্থী। এ শহরের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো ইউনিভার্সিটি স্টুটগার্ট (কিউএস র‍্যাঙ্কিং: ৩৫৫), ইউনিভার্সিটি অব হোহেনহেইম (কিউএস র‍্যাঙ্কিং: ৮০১-১০০০ মধ্য)

আরও পড়ুন