জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে প্রশ্নপত্র সরবরাহের অভিযোগ, তদন্তে কমিটি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ফাইল ছবি: প্রথম আলো

ছাত্রীকে সেমিস্টার চূড়ান্ত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সরবরাহের অভিযোগে উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিভাগ থেকে সহযোগী অধ্যাপক জুয়েল কুমার সাহার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি কমিটি গঠন করে। তবে কমিটিকে কত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে, তা বলা হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমদাদুল হক গণমাধ্যমকর্মীদের বিষয়টি জানান।

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন শাহজাহানকে আহ্বায়ক এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আবুল হোসেন ও লাইফ অ্যান্ড আর্থসায়েন্স অনুষদের ডিন মনিরুজ্জামান খন্দকারকে সদস্য করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উপাচার্য ইমদাদুল হক বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করব। বিষয়টি আমলে নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তদন্ত কমিটির সদস্য মনিরুজ্জামান খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, কমিটির আনুষ্ঠানিক কোনো সভা হয়নি। আহ্বায়ক সভা ডাকলে তদন্তের কাজ শুরু হবে।

ঘটনার বিষয়ে বিভাগের শিক্ষকেরা বলেন, জুয়েল কুমার সাহার বিরুদ্ধে বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের চূড়ান্ত বর্ষের এক নারী শিক্ষার্থীকে তাঁর নিজের কোর্স ‘ক্ল্যাসিক্যাল ইলেকট্রোডাইনামিকস-১’–সহ আরও কয়েকটি কোর্সের অভ্যন্তরীণ প্রশ্নপত্র পরীক্ষার আগে সরবরাহ করার অভিযোগ ওঠে। গত ৪ ডিসেম্বর দ্বিতীয় বর্ষের ওই কোর্সের মানোন্নয়ন পরীক্ষা চলাকালে দায়িত্বরত শিক্ষকেরা নকলসহ ওই শিক্ষার্থীকে আটক করেন। পরে তাঁর সঙ্গে থাকা নকলের সঙ্গে পরীক্ষায় আসা অধিকাংশ প্রশ্নের মিল দেখতে পান শিক্ষকেরা। জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি প্রশ্নপত্র পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং জুয়েল কুমার সাহা পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন সরবরাহ করেন বলে জানান।

বিভাগের চেয়ারম্যান নূরে আলম আবদুল্লাহ বলেন, ‘এখন তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটি স্বাধীন, তাই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না।’

অভিযোগ বিষয়ে জুয়েল কুমার সাহা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগটি মিথ্যা। সেই ছাত্রীর কাছ থেকে জোর করে স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে এ ষড়যন্ত্র করছে। আমার যা বলার, আমি তদন্ত কমিটির কাছেই বলব।’

এর আগে বিভাগীয়ভাবে বিষয়টি সমাধানের বিষয়ে জুয়েল কুমার সাহা বলেন, ‘এ অভিযোগও মিথ্যা। যদি এমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তবে অবশ্যই আমি তার অফিশিয়াল কোনো ডকুমেন্ট পেতাম। যেহেতু অফিশিয়াল কোনো ডকুমেন্ট দেওয়া হয়নি, তাই এ অভিযোগ আনঅফিশিয়াল।’