সৌদির ২৫৭ স্কুলে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী শিখছে চীনের ভাষা
চীনা ভাষা শিখছে সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীর ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। সৌদি আরবের জাতীয় শিক্ষা–পরিকল্পনার আওতায় এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যম গালফ নিউজ।
সহায়ক শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মক্কার ২৫৭টি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা চীনা ভাষা শিখবে। সৌদি আরবের সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভাষা কর্মসূচির আওতায় চীনা ভাষা শিখবে। গত সপ্তাহে শুরু হওয়া শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টার থেকে চীনের ভাষা শিখছে মক্কার বিভিন্ন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীরা। প্রতি সপ্তাহে দুটি ক্লাসে অংশ নেবে তারা।
সৌদি গেজেটের খবরে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক স্কুলের যারা চীনা ভাষা শিখছে, তাদের মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষায় এ–বিষয়ক লিখিত ও ভাইভা পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। যারা পরীক্ষায় পাস করবে, তাদের চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি–সম্পর্কিত ১০ ঘণ্টা স্বেচ্ছাসেবী কাজে অংশ নিতে হবে। এরপরই মিলবে এ–সংক্রান্ত সনদ। এ ছাড়া এই পরীক্ষায় সবচেয়ে ভালো ফল করা ১৬ ছেলে শিক্ষার্থী ও ১৬ মেয়ে শিক্ষার্থী চীন ভ্রমণের সুযোগ পাবে। আর চীনা ভাষা শেখার এই পুরো কার্যক্রমের ভিত্তিতে সেরা পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিশেষ সম্মান জানাবে সৌদির শিক্ষা বিভাগ।
গত বছর ডিসেম্বরে এক রাষ্ট্রীয় সফরে রাজধানী রিয়াদে যান চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও সৌদির বাদশাহর সঙ্গে বৈঠক করেন সি চিন পিং। তিনি সৌদির প্রতি আহ্বান জানান, সৌদি ও মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলোয় চীনা ভাষা শিক্ষা প্রসারের জন্য তাঁর দেশ হাজারো সুযোগ-সুবিধা দিতে প্রস্তুত।
এরপর চলতি বছরে বেইজিং সফরে যান প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। এ সফরে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে যুবরাজ সালমানের বৈঠকে সৌদি আরবে চীনা ভাষা শিক্ষার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
সৌদি আরবের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে চীনা ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগও গড়ে উঠেছে। গত মার্চে এ বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা পাস করেছেন।
২০২০ সাল থেকে সৌদি আরবের মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক স্কুল এবং কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা শিক্ষা শুরু হয়। সে সময় রিয়াদের আটটি স্কুলে শুরু হয় এ কার্যক্রম। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে নেওয়া হয়েছিল এ উদ্যোগ।