শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সপ্তাহব্যাপী চিকিৎসা দেবে খুদে চিকিৎসকেরা

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)ছবি: সংগৃহীত

মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুদে চিকিৎসক দিয়ে ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ২১ এপ্রিল, যা চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার অধীন ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও খুদে চিকিৎসক কার্যক্রমের অধীন গত ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সভায় ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা’-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১ থেকে ২৭ এপ্রিলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুদে চিকিৎসক দিয়ে ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

আরও পড়ুন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খুদে চিকিৎসক দল গঠন ও তাদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরীক্ষা একটি অভিনব কার্যক্রম, যাতে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত হওয়ার ও দলগতভাবে কাজ করার, এমনকি সুশৃঙ্খলভাবে জীবন গড়ার সুযোগ সৃষ্টিতে এ ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গঠিত খুদে চিকিৎসকদের দল নির্ধারিত শ্রেণির সব শিক্ষার্থীর ওজন, উচ্চতা, দৃষ্টিশক্তি পরিমাপসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করে তা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফরমে লিপিবদ্ধ করবে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে এই খুদে চিকিৎসক দল কোনো শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক শারীরিক বৃদ্ধিসহ দৃষ্টিশক্তিতে ত্রুটি কিংবা স্বাস্থ্য পরীক্ষার ফরমে উল্লেখিত অন্য বিষয়াদির তথ্য ও গাইড শিক্ষকদের নজরে আনবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো ছকে খুদে চিকিৎসকদের মাধ্যমে ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ কার্যক্রম তথ্য স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে সরবরাহ করতে হবে এবং এ বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় সাধন করতে হবে।

আরও পড়ুন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রধান শিক্ষকদের ২১-২৭ এপ্রিল সময়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুদে চিকিৎসক দিয়ে ‘শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা’ কার্যক্রম চালানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করবেন। সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা নিজ নিজ ক্লাস্টারের বিদ্যালয়গুলোতে খুদে চিকিৎসকদের দিয়ে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রমটি সুষ্ঠুভাবে প্রতিপালনের বিষয়টি নিবিড়ভাবে তত্ত্বাবধান করবেন। জেলা-উপজেলার সব কর্মকর্তাকে দৈবচয়নের ভিত্তিতে বিদ্যালয়গুলোতে ওই কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পরিবীক্ষণ করতে হবে। শিক্ষকেরা যেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের এ কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করতে হবে।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন