অটোপাসের দাবি পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

৪ দফা দাবি বাস্তবায়নে মানববন্ধন করেন পলিটেকনিকের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। জাতীয় প্রেসক্লাব, ২৪ জানুয়ারি
ছবি: দীপু মালাকার

সেশনজট কমানো, ফি কমানো, আসন বাড়ানো ও অটোপাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বেসরকারি কারিগরি (পলিটেকনিক) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, তাঁদের দাবিগুলো ন্যায্য। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁদের দাবি মানতে হবে।

আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন দেশের বিভিন্ন বেসরকারি কারিগরি (পলিটেকনিক) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ‘পলিটেকনিক সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে ৪ দফা দাবিতে তাঁরা বেলা একটা পর্যন্ত মানববন্ধন করেন।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো: এক বছরের সেশনজট কমাতে হবে, স্থগিতকৃত দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ পর্বে অটোপাস দিয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলো পরবর্তী পর্বে সংযুক্ত করা ও প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম, সপ্তম পর্বে ক্লাস চালু করে শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা, অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহারসহ বেসরকারি পলিটেকনিকে ৫০ ভাগ ফি মওকুফ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের আসন বাড়ানো।

শিক্ষার্থীরা জানান, গেল বছরের ১৭ মার্চ তাঁদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করোনার কারণে বন্ধ হয়। এক বছর ক্লাস না হওয়ার পরও পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

মানববন্ধনে পলিটেকনিক সাধারণ শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র মেহেদী হাসান বলেন, ‘পূর্বঘোষণা ছাড়া এবং কোনো রকমের ক্লাস ছাড়া এই মুহূর্তে পরীক্ষা নেওয়া হলে আমরা নিশ্চিত সবগুলো বিষয়ে অকৃতকার্য হব।’

মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন পান্থপথের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (এনআইইটি) ষষ্ঠ পর্বের শিক্ষার্থী নেসার উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলো ন্যায্য। প্রথম পর্বের শিক্ষার্থীদের এক দিনও ক্লাস নেওয়া হয়নি। অথচ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কীভাবে পরীক্ষায় বসবে শিক্ষার্থীরা।’

এর আগে ২০২১ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সরাসরি না নিয়ে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে পরীক্ষার্থীরা। সম্প্রতি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধনে পরীক্ষার্থীরা আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে অটোপাসের সিদ্ধান্ত দেওয়ার দাবি জানায়। ওই দিন শিক্ষার্থীরা বলে, স্কুল কার্যক্রম প্রায় ১১ মাস বন্ধ ছিল। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, তিন মাস ক্লাস করিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

পরীক্ষা জুনে হলে জুলাই ও আগস্ট মাস চলে যাবে ফলাফল প্রকাশ করতে। সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর চলে যাবে কলেজে ভর্তি হতে হতে। এতে সেশনজটের সৃষ্টি হবে।