অনলাইন শিক্ষায় সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট সুবিধা দেবে গ্রামীণফোন

করোনা মহামারির কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও গ্রামীণফোন লিমিটেডের (জিপি) মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতার আওতায় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সাশ্রয়ী মূল্যে ইন্টারনেট ডেটা প্যাক দেবে।

ইউজিসির পক্ষে সংস্থাটির সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফেরদৌস জামান এবং গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার কাজী মাহবুব নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সই করেন। অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ ও অধ্যাপক মো. আবু তাহের।

এর আগে এই কাজে টেলিটক নামমাত্র খরচে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি থাকবে। অনিশ্চিত এই পরিস্থিতিতে গত ২৫ জুন ইউজিসির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এক সভায় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর জুলাই থেকে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়। কিন্তু ক্লাস শুরুর পর শিক্ষকেরা দেখতে পান, বিভাগভেদে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশ নিচ্ছেন না।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্য বলছে, ডিভাইস ও ইন্টারনেট খরচের সমস্যার কারণেই মূলত শিক্ষার্থীদের বড় অংশ ক্লাসে যোগ দিচ্ছেন না। অনেকের অনাগ্রহও আছে। পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা অনেক শিক্ষার্থী ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যার কারণে ঠিকমতো ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না।

এমন অবস্থায় করোনাকালীন অনলাইন শিক্ষার জন্য স্মার্টফোন (মুঠোফোন) কিনতে দেশের সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১ হাজার ৫০১ জন অসচ্ছল শিক্ষার্থীকে বিনা সুদে ৮ হাজার টাকা করে ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি।