অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের ফোন, ডেটা প্যাকেজ দিল ঢাবির প্রাণিবিদ্যা বিভাগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল
ফাইল ছবি

অনলাইন ক্লাসে অংশ নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ নিজ বিভাগের অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ও ডেটা প্যাকেজ সহায়তা দিয়েছে। আজ রোববার সকালে বিভাগে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১৪ জন শিক্ষার্থীর হাতে এ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষকেরা জানান, গত ১৭ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনাকালে শিক্ষা কার্যক্রম যেন বন্ধ না থাকে, সে লক্ষ্যে দেশের স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শুরু হয়েছে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজ বাসা থেকে নিয়মিত ক্লাস করতে পারছেন। প্রাণিবিদ্যা বিভাগও শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। তবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার পর দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থীর ভালো কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ডেটার অভাব রয়েছে। তাঁরা ক্লাসে অংশ নিতে পারছেন না।

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নিয়ামুল নাসের প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিভাগের প্রথম থেকে চতুর্থ বর্ষ পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪৫০ জন। গত ৬ জুলাই থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগ অনলাইনে ক্লাস শুরু করে। বেশ কিছুদিন ক্লাস চলার পর আমরা দেখতে পাই, পঞ্চাশ জনের মতো শিক্ষার্থী কখনোই ক্লাসে উপস্থিত থাকছেন না। কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীরা অসচ্ছল পরিবারের। তাঁদের অনলাইনে ক্লাস করার মতো কোনো কম্পিউটার বা স্মার্টফোন নেই।’

এম নিয়ামুল নাসের জানান, বিভাগের শিক্ষকদের সহায়তায় প্রথম দফায় ১৪ জনকে ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্মার্টফোন এবং ৫০০ টাকার ডেটা প্যাকেজ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ওই ডেটা দিয়ে শুধু লেখাপড়া করবেন বলে অঙ্গীকার করে সই করেছে। তাঁদের বাবা-মায়ের সম্মতিও লিখিতভাবে নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক মিহির লাল সাহা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভুইয়া। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নিয়ামুল নাসের, একই বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ফিরোজ জামান ও অধ্যাপক মো. ছগীর আহমেদ।