সুইডেনে পড়তে আবেদন করবেন যেভাবে

সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মূলত অটাম এবং স্প্রিং সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়
ছবি: সংগৃহীত

সুইডেনে পড়ার জন্য প্রতিবছর বিশ্বের হাজারো শিক্ষার্থী পাড়ি জমান। মাথাপিছু জিডিপি ৪৫ হাজার ইউরোর দেশটি বসবাস ও উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম একটি ইউরোপীয় দেশ।

সুইডেনের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে উপসালা ইউনিভার্সিটি এবং লুন্ড ইউনিভার্সিটি। প্রধান বিদেশি ভাষা ইংরেজি হলেও সুইডেনের সরকারি ভাষা হচ্ছে সুইডিশ। স্নাতকোত্তর স্তরের বেশির ভাগ বিষয়ই ইংরেজিতে পড়ানো হয়। তবে চাকরির ক্ষেত্রে এই চিত্র কিছুটা ভিন্ন। পড়াশোনা শেষে কারও যদি সুইডেনে দীর্ঘমেয়াদি কর্মজীবনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা নির্দিষ্ট পেশাগত লক্ষ্য থাকে, তবে সুইডিশ ভাষা জানা থাকলে উপকৃত হবেন।

সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মূলত অটাম এবং স্প্রিং সেমিস্টারে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। তবে আবেদনপ্রক্রিয়া, সাক্ষাৎকার, ভিসা (সুইডিশ রেসিডেন্স পারমিট) এবং ভর্তি-সংক্রান্ত বিভিন্ন ধাপে পর্যাপ্ত সময় লাগে বলে ইউরোপের বাইরের শিক্ষার্থীরা সাধারণত অটাম সেমিস্টারেই ভর্তি হয়। গত ১৬ অক্টোবর থেকে অটাম ২০২১ সেমিস্টারের প্রথম রাউন্ডের ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনলাইনে আবেদনের সময়সীমা আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আবেদন ফি জমা দেওয়া এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা থাকে ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত।

স্নাতকোত্তর পর্যায়ে একজন আবেদনকারী সর্বোচ্চ চারটি বিষয়ে আবেদন করতে পারেন
ছবি: সংগৃহীত

আবেদনকারী চারটি বিষয়ে আবেদন করতে পারেন

স্নাতকোত্তর পর্যায়ে একজন আবেদনকারী সর্বোচ্চ চারটি বিষয়ে আবেদন করতে পারেন। এটি হতে পারে এক বা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে। আবেদন করা বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্রমানুসারে সাজাতে হয়। পছন্দের তালিকায় থাকা প্রথম বিষয়ের জন্য নির্বাচিত হলে অপর বিষয়গুলো বাতিল হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত হালনাগাদ বিবরণ দেওয়া থাকে।


ভর্তির জন্য বিষয়ভিত্তিক বেশ কিছু শর্ত (স্নাতক ডিগ্রি এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মোটিভেশন লেটার/স্টেটমেন্ট অব পারপাস, রেফারেন্স লেটারস, সিভি ইত্যাদি) পূরণের পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাগত যোগ্যতা, যেমন ন্যূনতম আইইএলটিএস বা টোফেল স্কোরের বিষয়ে বলা থাকে।


সুইডিশ অ্যাডমিশন সাইটে দেশভিত্তিক কিছু আলাদা ভর্তির শর্ত উল্লেখ করা থাকে। আবেদনকারীকে গুরুত্বসহকারে আবেদনের প্রতিটি অংশ পড়ে দেখা উচিত। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে স্নাতকের বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্যায়িত করা ট্রান্সক্রিপ্ট সুইডেনে কুরিয়ার করে পাঠাতে হয়। পাশাপাশি স্নাতক ডিগ্রির সনদ, ইংরেজির দক্ষতা সনদ, পাসপোর্টের স্ক্যান করা কপিসহ বিষয়ভিত্তিক ভর্তি শর্তানুসারে অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অ্যাডমিশন সাইটে তৈরি নিজস্ব প্রোফাইলে আপলোড করতে হয়।

সুইডেনে উচ্চশিক্ষার জন্য আছে বিভিন্ন বৃত্তির ব্যবস্থা
ছবি: সংগৃহীত

বৃত্তি

সুইডেনে উচ্চশিক্ষার জন্য আছে বিভিন্ন বৃত্তির ব্যবস্থা। সুইডিশ গ্লোবাল প্রফেশনাল স্কলারশিপ এগুলোর মধ্য উল্লেখযোগ্য। সুইডিশ ইনস্টিটিউট পরিচালিত সুইডিশ সরকারের শিক্ষাবৃত্তি এসআই স্কলারশিপ নামে পরিচিত।

এ বছর বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনুন্নত/উন্নয়নশীল দেশের শিক্ষার্থীরা এসআই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপ্রক্রিয়া চলবে ২০২১ সালের ৮-১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণা করা হবে ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল।

এসআই স্কলারশিপ ছাড়াও ইউরোপের বাইরের শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে বৃত্তি দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃত্তি পেলে বড় অঙ্কের টিউশন ফি দেওয়া লাগে না শিক্ষার্থীদের।

সুইডেনের উচ্চশিক্ষা, শিক্ষাবৃত্তি, ভিসা ও বিভিন্ন তথ্য জানতে নিচের ওয়েব লিংকগুলো অনুসরণ করতে পারেন শিক্ষার্থীরা—

*ভর্তি (https://www.universityadmissions.se/intl/start)

*এসআই স্কলারশিপ (https://si.se/en/apply/scholarships/)