কানাডার স্টুডেন্ট ডাইরেক্ট স্ট্রিমে বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্তিতে উদ্যোগের প্রস্তাব

গত শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত এই লাইভ আলোচনায় কানাডার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনা এবং বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে আলোচনা করেন ব্যারিস্টার চয়নিকা দত্ত, এডুকেশন কনসাল্টিং এজেন্ট কায়েসুর রহমান ও রিয়েল্টর আলম মোড়ল।
ছবি : সংগৃহীত

কানাডা সরকারের স্টুডেন্ট ডাইরেক্ট স্ট্রিমে (এসডিএস) বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করা গেলে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর কানাডায় পড়াশোনার সুযোগ তৈরি হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া উচিত বলে কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা এক আলোচনা সভায় মতামত দিয়েছেন।

কানাডার বাংলা পত্রিকা ‘নতুনদেশ’–এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগরের সঞ্চালনায় সামজিক যোগযোগমাধ্যমে সম্প্রচারিত ‘শওগাত আলী সাগর লাইভ’–এর আলোচনায় তাঁরা এই অভিমত ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত এই লাইভ আলোচনায় কানাডার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনা এবং বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে আলোচনা করেন ব্যারিস্টার চয়নিকা দত্ত, এডুকেশন কনসাল্টিং এজেন্ট কায়েসুর রহমান ও রিয়েল্টর আলম মোড়ল।

বক্তারা বলেন, মাত্র ২০ কার্য দিবসে স্টাডি পারমিটসম্পন্ন করার সুযোগ সংবলিত কানাডা সরকারের বিশেষ উদ্যোগ ‘স্টুডেন্ট ডিরেস্ট স্ট্রিম’–এ ভারত-পাকিস্তান অন্তর্ভুক্ত থাকলেও বাংলাদেশ সেখানে ঠাঁই পায়নি। ২০১৮ সালে চালু হওয়া কানাডা সরকারের বিশেষ এই প্রোগ্রামের আওতায় বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী কানাডায় আসছেন। মাত্র ১০ হাজার কানাডিয়ান ডলারের গ্যারান্টিড ইনভেস্টমেন্ট স্কিম কিনেই এই প্রোগ্রামের আওতায় ভিসার আবেদন করা যায়।

আলোচকেরা বলেন, কানাডা এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশি শিক্ষার্থী নিচ্ছে। বিদেশি শিক্ষার্থী গ্রহণের হিসাবে কানাডা এখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ। এই দেশে তৈরি হওয়া বিপুল সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য কূটনৈতিক উদ্যোগ প্রয়োজন বলে তাঁরা মনে করেন।

চয়নিকা দত্ত ‘স্টুডেন্ট ডিরেক্ট স্ট্রিমে’ বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে কানাডা সরকারের সঙ্গে দেনদরবার করতে বাংলাদেশি কানাডিয়ানদের উদ্যোগে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, কানাডায় বাংলাদেশ দূতাবাস এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে। বাংলাদেশি কানাডিয়ান হিসেবে কানাডা সরকারের সঙ্গে দেনদরবারে আমরা ভূমিকা রাখতে পারি।

বিদেশে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ঋণ সুবিধা প্রবর্তনের প্রস্তাব করে কায়েস রহমান বলেন, কানাডার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক পাঞ্জাবের শিক্ষার্থী আছেন। পাঞ্জাবের একটি ব্যাংক সহজ শর্তে তাঁদের ঋণ দিচ্ছে বলে মেধাবী সাধারণ পরিবারের শিক্ষার্থীরাও পশ্চিমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে পারছেন।

আলম মোড়ল বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা অন্য অনেক দেশের চেয়েও স্মার্ট এবং মেধাবী। তাঁরা ইংরেজিতেও ভালো। কিন্তু যথাযথ তথ্যের অভাবে তাঁরা বিদেশে পড়াশোনার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন না। তিনি বিদেশে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের পৃষ্ঠপোষকতার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগের দাবি জানান।

আলোচকেরা বলেন, কানাডা সরকারের ওয়েবসাইটে ইমিগ্রেশন এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের সুযোগ সংবলিত তথ্য আছে। এই তথ্যই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। বিজ্ঞপ্তি।