জবিতে সেমিস্টার ভর্তি ফি মওকুফের দাবি

করোনা সংকটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চলতি সেমিস্টারের ভর্তি ফি মওকুফের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। এ ছাড়া অত্যাধুনিক মেডিকেল সেন্টার নির্মাণ, সহজ শিক্ষা ঋণসহ শিক্ষার্থীদের যেসব দাবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূরণের আশ্বাস দিয়েছে তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে তারা।

আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংকট মোকাবিলায় লকডাউনসহ নানা পদক্ষেপের ফলে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অসংখ্য মানুষের রুজিরোজগারে টান পড়ছে।

উৎপাদনশীলতাও মুখ থুবড়ে পড়েছে৷ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও তাঁদের পরিবার এই সংকটের বাইরে নয়। দীর্ঘ আট মাস বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী খণ্ডকালীন চাকরি কিংবা টিউশন করে নিজেদের শিক্ষা খরচ বহন করতেন, এই সংকটের কারণে অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে এবং তাঁদের পরিবারগুলোর অবস্থা নাজুক। খুবই দুঃখজনকভাবে এরই মাঝে বিভিন্ন বিভাগ থেকে নতুন সেমিস্টারে ভর্তির নোটিশ দেওয়া হচ্ছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এই সংকটময় মুহূর্তে শিক্ষার্থীদের পক্ষে এই বাড়তি ব্যয় বহন করা প্রায় অসম্ভব।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করে শিক্ষাবৃত্তির জন্য সুপারিশ কমিটি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই সংকট সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে। বর্ষবরণ, মুজিব বর্ষ পালন না হওয়ায় সেই টাকা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে খরচ করার প্রতিশ্রুতিও কেউ মনে রাখেনি। সাম্প্রতিক বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বাজেটও সংকুচিত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খরচও থেমে আছে। শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার ভর্তির বিজ্ঞপ্তি থেমে নেই।

এদিকে গত ৪ অক্টোবর রেজিস্ট্রার দপ্তরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যে সকল শিক্ষার্থীর স্নাতক চুড়ান্ত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু স্নাতকোত্তর প্রােগ্রামে ভর্তি সম্পন্ন হয়নি তাদের স্নাতকোত্তরে এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর প্রােগ্রামে অধ্যয়নরত অন্যান্য সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হলেও কিংবা ফলাফল প্রকাশ না হলেও বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তী সেমিস্টারে অনলাইনে ভর্তির বিষয়ে অনুমতি প্রদান করা হবে। এরপর বিভিন্ন বিভাগ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

এ ছাড়া গত ৭ অক্টোবর অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে করােনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি বছরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সকল প্রকার বিলম্ব ফি মওকুফ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।