জাবিতে অনলাইনে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অনলাইন সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে নতুন ছয়জন শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি জানিয়েছেন একই বিভাগের আটজন শিক্ষক। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এই দাবি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি দর্শন বিভাগে ছয়জন প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই ছয় পদের বিপরীতে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৫৭ জন প্রার্থী। আজ শনিবার অনলাইনে তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন। তিনি বলেন, ‘১২ জুন দর্শন বিভাগে ছয়জন শিক্ষক নিয়োগের সাক্ষাৎকার অনলাইনে নেওয়া হবে বলে আবেদনকারীদের জানানো হয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন অধ্যাদেশ পাস করানো হয়েছে এবং চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়াকে আমরা যথাযথ মনে করছি না, সেখানে শিক্ষক নিয়োগের মতো গুরুত্বপূর্ণ যাচাই পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’

রায়হান রাইন আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং বিভাগীয় সভাপতি তাঁদের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে অনলাইনে গণনিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘নতুন শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে দর্শন বিভাগের শিক্ষা পর্ষদের সভায় কোনো আলোচনা হয়নি।’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, ফরিদ আহমেদ, মো. মনজুর ইলাহী, মো. জাকির হোসেন, সহকারী অধ্যাপক আবদুছ ছাত্তার ও মোহাম্মদ উল্লাহ।

গত বৃহস্পতিবার দর্শন বিভাগের এই নিয়োগপ্রক্রিয়া বন্ধ করতে হাইকোর্টে রিট করেন অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, আনোয়ারুল্লাহ ভূঁইয়া, জাকির হোসেন ও সহকারী অধ্যাপক আবদুছ ছাত্তার।

এ ছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন এবং দর্শন বিভাগের সভাপতিকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন। দর্শন বিভাগের আটজন শিক্ষকের পক্ষে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।