দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে ঢাবির ‘কর্মসূচি’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গ্র্যাজুয়েটদের ভাষাদক্ষতা অর্জন ও তাঁদের নিয়োগযোগ্য করে গড়ে তোলার জন্য ‘গ্র্যাজুয়েট প্রমোশন অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তীব্র প্রতিযোগিতামূলক বাজারে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা, এসডিজি অর্জন এবং দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ কর্মসূচি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের ভাষাদক্ষতা অর্জন ও তাঁদের নিয়োগযোগ্য করে গড়ে তুলবে।

গতকাল শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ডিনস কমিটির সুপারিশ এবং একাডেমিক পরিষদের অনুমোদন অনুযায়ী সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নেয়।

‘গ্র্যাজুয়েট প্রমোশন অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্ট’ কর্মসূচির আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, প্রতিষ্ঠান, বিভাগ ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আন্তসম্পর্ক ও আন্তসহযোগিতার জন্য সমঝোতা চুক্তি বা বিনিময় চুক্তি সম্পাদন করবে। শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজিসহ অন্য যেকোনো একটি আন্তর্জাতিক ভাষা শেখার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। জাতীয়, আন্তর্জাতিক ও বহুজাতিক সরকারি, বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগযোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রায়োগিক জ্ঞান শেখানোর জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ কর্মসূচির আওতায় অনুষদগুলোর ডিনরা নিজ নিজ অনুষদভুক্ত বিভাগের চেয়ারম্যান এবং ইনস্টিটিউটের পরিচালকেরা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের নিয়ে কিছু মৌলিক, প্রাত্যহিক, প্রায়োগিক বা ব্যবহারিক বিষয়ে মৌলিক নীতিমালা প্রণয়ন করে সে আলোকে গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে এক থেকে দুই সপ্তাহ প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেবেন।

মৌলিক, প্রাত্যহিক, প্রায়োগিক বা ব্যবহারিক বিষয়ের মধ্যে রয়েছে চালচলন, সৌজন্যবোধ, করপোরেট শিষ্টাচার, উপস্থাপনা, প্রযুক্তির ব্যবহার, ভাষাদক্ষতা প্রভৃতি।
এ ছাড়া সিন্ডিকেট সভায় একাডেমিক পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী ২৫ জন গবেষককে পিএইচডি, একজন গবেষককে ডিবিএ এবং ২২ জনকে এমফিল ডিগ্রি দেওয়া হয়।