সারা জীবন জ্ঞান আহরণের জন্য শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করি: বিইউবিটি উপাচার্য

সারা জীবন জ্ঞান আহরণের জন্য শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করি

অধ্যাপক ড. মো. ফৈয়াজ খান

অধ্যাপক ড. মো. ফৈয়াজ খান, উপাচার্য, বিইউবিটি

এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষার্থী বিইউবিটি থেকে তাদের শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করে সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে দেশ–বিদেশে কর্মরত। তাঁরা প্রযুক্তিগত বা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সাফল্যের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের অধিকাংশই শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগী। আমাদের স্বপ্ন বা ভিশন হচ্ছে বিইউবিটিকে একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব, উদ্ভাবনী ও গবেষণার ক্ষেত্রে একটি শীর্ষ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা। আর লক্ষ্য বা মিশন হলো কম খরচে মানসম্মত শিক্ষাদানের মাধ্যমে বিইউবিটির ছাত্রছাত্রীদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করা। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন আমরা লক্ষ করছি। এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পারলে আমাদের শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে পারবে না। তাই আমাদের পাঠ্যক্রমে এই পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সময়ে–সময়ে পরিবর্তন আনছি, যেন আমরা শিক্ষার্থীদের ‘লাইফ লং লার্নার’ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।

আমরা কর্মমুখী শিক্ষাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় আমরা একটি আধুনিক মোবাইল অ্যাপ ও গেমস ল্যাব এবং বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ ল্যাব প্রতিষ্ঠা করেছি। সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত জার্নাল নেচার–এ আমাদের কম্পিউটারবিজ্ঞান বিভাগের একটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। একই বিভাগের তৈরি নারীদের সহায়তার জন্য ‘ইগল’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ বাংলাদেশ পুলিশ ব্যবহার করছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে এটি প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে।

আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যারিয়ার গাইডেন্স সেন্টার করেছি। জব ফেয়ার, ক্যারিয়ারবিষয়ক আলোচনা, সেমিনার, কর্মশালাসহ নানা কিছু আয়োজন করা হয় ক্যাম্পাসে। এ ছাড়া ব্যবসায় ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগের সঙ্গে আমরা নিবিড় সম্পর্ক রাখি, যেন তাদের চাহিদা মাথায় রেখে শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষিত করা যায়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সহায়তায় চালু হলেও বর্তমানে নিজস্ব অর্থায়নে বিইউবিটিতে সক্রিয় আছে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেন্টার, যা পরিচালনা করছেন একজন স্বনামধন্য, দক্ষ ও জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক। এ ছাড়া আধুনিক গবেষণা ও শিক্ষাদান পদ্ধতির ওপর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য বিইউবিটি রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার (বিআরআইসি) স্থাপন করা হয়েছে।

সহশিক্ষা কার্যক্রমে গুরুত্ব দেওয়া হয়: উপদেষ্টা

অধ্যাপক মো. আবু সালেহ

অধ্যাপক মো. আবু সালেহ, উপদেষ্টা, বিইউবিটি

বিইউবিটিতে এখন পর্যন্ত চারটি সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়েছে। নিয়মিত জার্নাল প্রকাশ করে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়। সহশিক্ষা কার্যক্রমের ওপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসের অদূরে বেড়িবাঁধের রাস্তাসংলগ্ন ২২ বিঘা জমির ওপর স্থাপন করা হয়েছে বিইউবিটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স। ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলা ও শরীরর্চচা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এখানে। প্রতিটি ক্লাবের জন্য আছে আলাদা রুম। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে সচেতনতামূলক বিতর্ক প্রতিযোগিতা ২০১৮–তে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয় আমাদের ডিবেটিং ক্লাব। ২০২০ সালে ভারতের কুরুক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিজ আয়োজিত ১৩তম সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটিজ ইয়ুথ ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করে বিইউবিটি কালচারাল ক্লাবের সদস্যরা গোল্ড মেডেল ও সনদ নিয়ে এসেছে। ২০১৯ সালে বিইউবিটি স্পোর্টস টিম ইন্দো–বাংলা টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।