বিজ্ঞানশিক্ষকদের এমপিও জটিলতা কাটল

বাংলাদেশ সরকার

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগে জটিলতার অবসান হলো সরকারের এক ঘোষণায়। কারণ এর আগে একই বিষয়ে দুজনকে নিয়োগ দেওয়ায় একজন এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) পেলেও অন্যজন এ সুবিধা পেতেন না। তবে দীর্ঘদিন পর এ জটিলতার সমাধান দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোমিনুর রশিদ স্বাক্ষরিত উভয় শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশনা জারি হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান ও ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ে দুজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের একজনকে এমপিওভুক্ত করা হলেও আরেকজনকে এর আওতায় আনা হয়নি। ২০১৯ সালে শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে দুই পদের জন্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হলেও তাঁদের এখনো এমপিওভুক্তির আওতায় আনা হয়নি। এ ক্ষেত্রে আগে নিয়োগ পাওয়া সহকারী শিক্ষক বিজ্ঞান বিষয়ে এবং পরে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষককে ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ে এমপিওভুক্ত করা হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এনটিআরসিএর মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়ার পরও এখন পর্যন্ত এমপিওভুক্ত হননি, তাঁর পঠিত বিষয় প্রাণিবিজ্ঞান/উদ্ভিদবিজ্ঞান হলে তাঁকে জীববিজ্ঞান বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদে এমপিওভুক্ত করা যাবে। ২০১৮ সালের এমপিও নীতিমালার আগে যাঁরা নিয়োগবিধি মোতাবেক নিয়োগ পেয়ে কর্মরত রয়েছেন, তাঁদের জীববিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক পদে এমপিওভুক্ত করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এই পদ শূন্য হলে সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকের (জীববিজ্ঞান) জন্য এনটিআরসিএতে যথাযথ মাধ্যমে চাহিদা পাঠাতে হবে।

এনটিআরসিএর দ্বিতীয় ধাপে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের ভৌতবিজ্ঞান পদে বিবেচনা করে এমপিওভুক্ত করতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি নিয়োগপত্র প্রাপ্তদের এমপিওভুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বশেষ নীতিমালা অনুযায়ী শূন্য পদে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা এনটিআরসিএতে পাঠাতে বলা হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হলো বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তি.pdf