বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান করতে চাই

অধ্যাপক ভিনসেন্ট চ্যাং, উপাচার্য, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি একটি শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা বিশ্বাস করি যে শিক্ষার্থীদের কেবল পেশাগত দক্ষতাই নয়, বরং আগামী দিনের অগ্রদূত হওয়ার জন্য ইতিবাচক মানবীয় গুণাবলিও অর্জন করতে হবে। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ক্লাব কার্যক্রম, আবাসিক সেমিস্টার ও লিবারেল আর্টস কারিকুলামের জেনারেল এডুকেশনের লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিকভাবে গুণসম্পন্ন আগামী দিনের নেতৃত্ব হিসেবে গড়ে তোলা।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মূল উদ্যোগের ক্ষেত্রগুলো হলো আন্তর্জাতিকীকরণ, স্টুডেন্ট এক্সপেরিয়েন্স এবং প্রাসঙ্গিক গবেষণার মাধ্যমে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষার মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করা এবং এটাকে বাংলাদেশের একটি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রশ্ন :

আপনার চোখে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সেরা বৈশিষ্ট্য কোনটি?

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড কিংবা ইয়েল ইউনিভার্সিটির মানদণ্ডের নিরিখে আমরা আমাদের ‘জেনারেলে এডুকেশন লিবারেল আর্টস’ পাঠ্যক্রম নতুনভাবে সাজাচ্ছি। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য একটি নিবেদিতপ্রাণ ‘স্টুডেন্ট লাইফ অফিস’ প্রতিষ্ঠা করেছি, যা বাংলাদেশে প্রথম। এ ছাড়া আমরা সাশ্রয়ী মূল্যে শিক্ষার্থীদের পরিবহনের সুব্যবস্থা করেছি, যেখানে শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রশ্ন :

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ কোনো অর্জনের কথা যদি বলেন...

দারিদ্র্য দূরীকরণে অবদান রাখায় সম্প্রতি টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই) ইমপ্যাক্ট র‌্যাঙ্কিং ২০২০–এর ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজিএস): নো পোভার্টি’ বিভাগে বিশ্বসেরা ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। প্রথম বাংলাদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৭ সালে নিজস্ব ন্যানোস্যাটেলাইট তৈরি করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি অনন্য অর্জন। এ ছাড়া ইউনিভার্সিটি রোভার চ্যালেঞ্জ ২০২০ (ইউআরসি) প্রতিযোগিতায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের তৈরি রোবট—মঙ্গলতরি চূড়ান্ত পর্বে নম্বরের ভিত্তিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে; যেখানে প্রথম স্থানে ছিল ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান ও রানারআপ হয় স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি। এসব অর্জন দেশে-বিদেশে দারুণভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

প্রশ্ন :

আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কী ধরনের সম্পৃক্ততা আছে?

বিশ্বের অনেক শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ‘পার্টনারশিপ’ আছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির। সেই সঙ্গে বাড়ছে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর সংখ্যাও। ২০২০ সালের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে ‘ওপেন সোসাইটি ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্ক’-এ যোগ দেওয়া প্রথম বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা করেন বিখ্যাত মার্কিন বিনিয়োগকারী জর্জ সরোস। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটনসহ ভিয়েতনাম, মধ্যপ্রাচ্য ও লন্ডনের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নানা কোর্স করতে পারবে আমাদের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ‘দ্য ওয়ার্ল্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি নেটওয়ার্ক’সহ আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।

উদ্যোগী মানসিকতা জাগিয়ে তোলে

মো. আলিফ হোসেন শিক্ষার্থী, বিবিএ, চতুর্থ বর্ষ, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

আমাকে কেবল শিক্ষার ক্ষেত্রে আলোকিত করেছে তা নয়, মানুষের মৌলিক মূল্যবোধ অর্জন করতে সাহায্য করেছে। সহানুভূতি এবং নেতৃত্বের মতো গুণাবলির প্রচারের মাধ্যমে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্যোগী মানসিকতা জাগিয়ে তোলে।