স্কুল খুলে দিয়েছে ইসরায়েল
করোনার প্রকোপ কমে আসায় অনেক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ইসরায়েল। বাইরে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে দেশটি। আর অনেক দিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও। বেশির ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে এসে মাস্ক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে সবার আগে ইসরায়েল এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
হারেৎজের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে খোলা জায়গায় বা রাস্তায় আর মাস্ক পরতে হবে না। কেবল আবদ্ধ পাবলিক প্লেস বা গণজমায়েত হলে মাস্ক পরতে হবে। তবে কারও নিজের বাসায় বা যেখানে বেশি মানুষ নেই, সেখানে মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। তবে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় নাগরিকদের মাস্ক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ৫০ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দিয়েছে। আর দৈনিক করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১০০–এর খানিকটা বেশি হওয়ার ইসরায়েল এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গতকাল রোববার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল ক্লাস শুরুর পরে রাজধানী জেরুজালেমের একটি স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অনলাইনে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সরকার নিয়মিত সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে। তবে আবদ্ধ পাবলিক প্লেস, গণজমায়েত বা স্কুলের ক্লাসরুমে মাস্ক পরতে হবে। কারণ, এখনো করোনায় যায়নি।
শুরুতেই ডে-কেয়ার থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে গতকাল থেকে ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ বন্ধের পর স্বাভাবিক স্কুলে ফিরতে একটি কাঠামোবদ্ধ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে দেশটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, সপ্তাহে ছয় দিন ক্লাস হবে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পুরো প্রক্রিয়া নজরদারির মধ্যে থাকবে। ব্যক্তিগত সুরক্ষা বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, শ্রেণিকক্ষে মাস্ক পরা, কক্ষগুলোয় যথাযথ বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা, বিরতির সময়ও প্রয়োজনীয় দূরত্ব মেনে চলাসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে স্কুলগুলোকে।
শিক্ষার্থীদের স্কুলের খোলা জায়গায় মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই। এমনকি খাওয়ার সময় বা জিম ক্লাস করার সময়ও মাস্ক বাধ্যতামূলক নয়। যেহেতু এ শিশুরা টিকার আওতায় আসেনি, তাই তাদের ক্ষেত্রে তুলনামূলক বেশি সচেতন থাকতে শিক্ষক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান–সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৬ বছরের বেশি বয়সী বেশির ভাগ ইসরায়েলির শরীরে ফাইজার–বায়োএনটেকের দুই ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। দেশটির হাসপাতালগুলোয় কমেছে ভর্তি রোগীর সংখ্যা, প্রতিদিনই কমছে সংক্রমণের হার।
মাস্ক পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও বিদেশিদের ইসরায়েলে প্রবেশ এখনো সীমিত। টিকা নেননি এমন ইসরায়েলিরা দেশে ফিরলে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।