উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন দরকার: ইউজিসির চেয়ারম্যান

দেশের উচ্চশিক্ষার কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন করতে হলে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের সঠিক বাস্তবায়ন ও সদিচ্ছা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর।

আজ সোমবার ইউজিসিতে পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর ইমেরিটাস এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য সৈয়দ সাদ আন্দালিবের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর এ কথা বলেন। ইউজিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

অধ্যাপক আলমগীর বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে সংকট রয়েছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষার সব ধারার সঙ্গে সমন্বয় করা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষা, গবেষণা ও সেবা ধারায় ভাগ করা গেলে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। এটি করতে হলে রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং সংশ্লিষ্ট বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

ইউজিসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে পিএইচডি ডিগ্রিধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। কেননা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণায় এসব শিক্ষক বেশি অবদান রাখতে পারেন। এতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের কাছ থেকে নানাভাবে উপকৃত হন। তবে তিনি বলেন, পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে শিক্ষকদের একটি বড় অংশ শিক্ষা ছুটি নিয়ে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। অনেকে আবার দেশে ফিরছেন না। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং শিক্ষায় সংকট তৈরি হচ্ছে।

সভায় সৈয়দ সাদ আন্দালিব বিভিন্ন দেশের উচ্চশিক্ষার উন্নয়নের চিত্র, তাঁর বাস্তব অভিজ্ঞতা ও সুপারিশ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে একাডেমিক বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণাভিত্তিক (রিসার্চ বেইজড) বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং উচ্চশিক্ষা সেবার মানোন্নয়ন করতে হবে। শিক্ষক ও ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা, গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, মানসম্পন্ন জার্নালে গবেষণা প্রকাশে সহায়তা করা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করা, শিক্ষার প্রভাব যাচাই করা, তরুণ গবেষকদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ এবং ওয়েবসাইটে গবেষণার তথ্য প্রকাশে পরামর্শ দেন তিনি। এ ছাড়া র‍্যাঙ্কিংয়ে ভালো করতে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে সরকার নিবিড়ভাবে পরিকল্পনা করতে পারেন বলেও মতামত দেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক হাসিনা খান, অধ্যাপক মো. সাজ্জাদ হোসেন, ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামান প্রমুখ।