বাংলা লেখায় চৌর্যবৃত্তি ধরতে ঢাবিতে সফটওয়্যার তৈরি

ইংরেজি লেখায় চৌর্যবৃত্তি ধরতে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় নানা সফটওয়্যার থাকলেও বাংলা লেখায় চৌর্যবৃত্তি ধরার নির্ভরযোগ্য সফটওয়্যার নেই। বাংলায় লেখা এমফিল ও পিএইচডি থিসিস, জার্নাল, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, শিক্ষার্থীদের থিসিস, অ্যাসাইনমেন্টসহ বিভিন্ন গবেষণাপত্রের তথ্যসূত্র যাচাই, বাংলা ‘টেক্সট সিমিলারিটি’ নির্ণয়ে একটি সফটওয়্যার তৈরি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। মঙ্গলবার ‘ডিইউবিডি২১’ নামের সফটওয়্যারটির উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ডিইউবিডি২১ সফটওয়্যারটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বে একদল গবেষক সফটওয়্যারটি তৈরি করেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আবদুস সাত্তার সফটওয়্যারটির ব্যবহারবিধি তুলে ধরেন৷

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান এই সফটওয়্যার উদ্ভাবনের জন্য গবেষকদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌলিক গবেষণার ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ অর্জন। এই সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলায় রচিত এমফিল ও পিএইচডি থিসিস, জার্নাল, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, শিক্ষার্থীদের থিসিস, অ্যাসাইনমেন্টসহ বিভিন্ন গবেষণাপত্রের তথ্যসূত্র যাচাই, বাংলা টেক্সট সিমিলারিটি নির্ণয় করা যাবে। শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন এবং মৌলিক ও প্রায়োগিক গবেষণার ক্ষেত্রে এই সফটওয়্যার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

উপাচার্য আরও বলেন, এ ধরনের মৌলিক উদ্ভাবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিংয়ের উন্নয়নে অবদান রাখবে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নেও এর প্রভাব পড়বে।

ডিইউবিডি২১ সফটওয়্যারটি ব্যবহারের মাধ্যমে গবেষকেরা আগে প্রকাশিত একই ধরনের কাজ সম্পর্কে জানতে পারবেন। একই সঙ্গে শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীরা মৌলিক গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে আরও সচেতন হবেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূইয়া, প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।