পিএসসি সংস্কার ও নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের

পিএসসি সংস্কার ও নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরছবি: প্রথম আলো।

পিএসসি সংস্কারসহ সব নিয়োগ পরীক্ষায় শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে সংবাদ সম্মেলনের করেন শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান অনিয়ম, দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবিগুলোর বাস্তবায়ন হলে নিয়োগব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে এবং মেধাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবিগুলো হলো—

১. প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক, বাংলাদেশ রেলওয়ে, খাদ্য অধিদপ্তরসহ ১৬তম গ্রেড পর্যন্ত সব নিয়োগ পরীক্ষায় প্রিলিমিনারির পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে।

২. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠার পর প্রমাণ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা বাতিল করতে হবে।

৩. সুপারিশ বাণিজ্য রোধে মৌখিক পরীক্ষায় নম্বরের পরিমাণ কমাতে হবে।

৪. প্রশ্নফাঁস চক্র, প্রক্সি পার্টি ও ডিভাইস ব্যবহারকারীদের দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

৫. প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০ শতাংশ অগ্রাধিকারভিত্তিক বিজ্ঞান কোটা বাতিল করতে হবে।

৬. স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আবেদন ফি সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে।

৭. যেকোনো নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফলের সঙ্গে মূল মেধা তালিকার এক-তৃতীয়াংশ পরিমাণ প্রার্থীকে ওয়েটিং লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং এক বছরের মধ্যে পদ শূন্য হলে প্যানেলভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে।

৮. বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন, কন্ট্রোলার জেনারেল অব ডিফেন্স ফিন্যান্স, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, খাদ্য অধিদপ্তর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট, বাংলাদেশ রেলওয়ে ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিগত বছরের নিয়োগগুলোতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করা হয়।

৯. বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশন কমিটির হাতে নিয়োগ ফাইল হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে এবং

১০. শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় ৩০ শতাংশ নারী কোটা বাতিল করতে হবে।

এই আন্দোলনের মুখপাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হুসাইন বলেন, ‘পিএসসি সংস্কার ও নিয়োগ পরীক্ষার স্বচ্ছতা আনয়ন জুলাইয়ের অঙ্গীকার। জুলাই–পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা আমাদের শতভাগ মেধার বহিঃপ্রকাশ করতে চাই। তারুণ্যের মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে হলে সংস্কারের বিকল্প নেই।’