নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় জরুরি

জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা রাখা হয়নি। এই বিবেচনায় সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে এই দুই পরীক্ষা বাদ দিয়েছে। তবে করোনার কারণে তিন বছর ধরে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হলেও এখনো কাগজপত্রে তা বাদ দেওয়া হয়নি। উপরন্তু বিদায়ী বছরের একেবারে শেষ পর্যায়ে আকস্মিকভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা চাপিয়ে দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ১ জানুয়ারি থেকে প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে চালু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রম। আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শ্রেণিতেও তা চালু হবে। এসব নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও পরিমার্জন কোর কমিটির সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক এম তারিক আহসান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিবেদক মোশতাক আহমেদ

এম তারিক আহসান

প্রশ্ন :

আপনারা দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সরকার এখন আনুষ্ঠানিকভাবে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাতিল করেছে—এ বিষয়ে আপনার মতামত জানতে চাই?

এম তারিক আহসান: আমি মনে করি, জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত খুবই সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনিসহ সংশ্লিষ্ট সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সাধুবাদ জানাই ও ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, শিক্ষার্থীর উন্নয়নে এই সিদ্ধান্ত বড় ভূমিকা রাখবে।

আরও পড়ুন

প্রশ্ন :

কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা তো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়নি, যদিও করোনো সংক্রমণ পরিস্থিতিতে তিন বছর ধরে এই পরীক্ষা হচ্ছে না। এ বিষয়ে কিছু বলবেন?

এম তারিক আহসান: আমি আশা করব, শিগগিরই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা বাতিলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে এবং নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দেবে।

আরও পড়ুন

প্রশ্ন :

নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় প্রথাগত পরীক্ষার গুরুত্ব কমিয়ে ধারাবাহিক (শিখনকালীন) মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু করোনার কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না হলেও উল্টো প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা চালু করা হয়েছে, এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?

এম তারিক আহসান: এসব পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত বাতিল করা আরও জরুরি। কারণ, শিশুদের সার্বিক বিকাশে পরীক্ষা থেকে যত দূরে রাখা যায় এবং কম বয়সে শিক্ষার্থীদের মানসিক-শারীরিক ও সামাজিক পীড়ার মধ্য দিয়ে না নেওয়া যায়, ততই মঙ্গল। এখন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা যদিও হচ্ছে না। কিন্তু বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন শিশুর বিকাশের জন্য বাধা স্বরূপ, তেমনি তা শিক্ষার্থীদের জন্য বৈষম্যমূলক। কারণ, ২০ ভাগ শিক্ষার্থীকে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়েছে এমন একটি বয়সে, যখন আসলে মেধার বিকাশে প্রতিযোগিতামূলক ধারণা মোকাবিলা করার মতো বয়স নয়। সার্বিক বিকাশ চাইলে তাদের সহযোগিতামূলক ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের মধ্য দিয়ে নিতে হবে। কাজেই সেই প্রক্রিয়ার সঙ্গে বৃত্তি পরীক্ষাটি যায়নি। শিক্ষার্থীদের প্রণোদনা দেওয়ার নানা উপায় রয়েছে, তা দেওয়া যায়। কাজেই শিশুর বিকাশকে আরও বেশি বিজ্ঞানসম্মত এবং সৃজনশীল করতে হলে প্রাথমিক পর্যায়ের পরীক্ষা বাতিলের প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি।

প্রশ্ন :

নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় পরীক্ষার গুরুত্ব কমানো হয়েছে, এ নিয়ে অনেকের মধ্যে নানা প্রশ্ন আছে। বিষয়টি আরেকটু পরিষ্কার করবেন?

এম তারিক আহসান: নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী সামষ্টিক মূল্যায়নের (বার্ষিক, সাময়িক ইত্যাদি পরীক্ষা) গুরুত্ব কমিয়ে আনা হয়েছে এবং শিখনকালীন মূল্যায়নের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিনের শিখনকে শক্তিশালী ও গতিশীল করার দিকে নজর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা যাতে মুখস্থনির্ভরতা, পরীক্ষানির্ভরতা ও পরীক্ষাভীতি থেকে বের হয়ে আসতে পারে, সে জন্য নানা রকমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পরীক্ষা বা মূল্যায়ন বাদ হয়ে যায়নি। মূল্যায়নের ধরনটি পরিবর্তন হয়ে গেছে।

প্রশ্ন :

শিখনকালীন মূল্যায়ন নিয়ে আরেকটু বিস্তারিতভাবে বলবেন?

এম তারিক আহসান: আগে পরীক্ষা বলতে বুঝতাম মুখস্থনির্ভর একটি বিষয়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করে আসতে হবে। যার ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষকনির্ভরতা, গাইডনির্ভরতা, কোচিং-প্রাইভেটনির্ভরতা বেড়ে গিয়েছিল। আমরা সেটি থেকে বের হয়ে আসতে চাইছি। পরীক্ষার গতানুগতিক ধারণা থেকে বের হয়ে আসতে চাইছি। কিন্তু শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন ঠিকই হবে। শিখনকালীন মূল্যায়নটি হচ্ছে প্রতিটি অভিজ্ঞাতর মধ্য দিয়ে কীভাবে শিক্ষার্থীর মধ্যে পরিবর্তন আসছে, তার পারদর্শিতার চিত্রকে মাপার চেষ্টা করা। সেই পারদর্শিতার কতগুলো নির্দেশক আছে। সেই নির্দেশক অনুযায়ী শিক্ষার্থী কি প্রারম্ভিক পর্যায়ে আছে, নাকি অন্তর্ভুক্তিমূলক অবস্থায়, নাকি পারদর্শী অবস্থায় আছে, তা মূল্যায়ন করবেন শিক্ষকেরা। এভাবে বছরব্যাপী মূল্যায়ন শেষে সার্বিক ফলাফল পাব। পাশাপাশি মাধ্যমিকে বছরে দুটি সামষ্টিক মূল্যায়ন (বছরে দুবার পরীক্ষা) রাখা হয়েছে। তবে সেখানেও কিন্তু তিন ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা থাকছে না। সেখানেও শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতাভিত্তিক শিখনের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে এবং পারদর্শিতার নির্দেশকগুলো অর্জন করতে হবে।

প্রশ্ন :

নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে কি আদৌ কোচিং ও প্রাইভেট–বাণিজ্য বন্ধ হবে?

এম তারিক আহসান: শিক্ষার কতগুলো ধরাবাঁধা নিয়ম কোচিং সেন্টার ও গাইড বইচর্চার ক্ষেত্রগুলো তৈরি করেছিল। এখন যেহেতু ওই চর্চাগুলো থাকছে না, কাজেই কোচিং-গাইড বইয়ের প্রয়োজনীয়তাও থাকছে না। আশা করব, হয়তো গাইড বই ও কোচিং সেন্টারের গতানুগতিক ধারণা থেকে বের হয়ে আসবে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা।

প্রশ্ন :

নতুন শিক্ষাক্রম এ বছর শুরু হবে, এটি অনেক আগের সিদ্ধান্ত। কিন্তু বছর শুরুর বেশ কিছুদিন পরেও সব শিক্ষার্থী সব বই হাতে পায়নি। বইগুলো যেহেতু একেবারে নতুন, তাই সব বই না পাওয়ায় পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রমও শুরু করতে সমস্যা হচ্ছে।

এম তারিক আহসান: এ জন্য সমস্যা তো অবশ্যই হচ্ছে। তবে এর পেছনে এবার কিছু চ্যালেঞ্জ ছিল। বর্তমান পৃথিবীর বাস্তবতায় এই চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। যে কারণে কাঁচামালের সংকট তৈরি হয়েছিল। আমি মনে করি, জানুয়ারির মধ্যে হয়তো এর সমাধান হয়ে যাবে। এখন একটু সচেতন হলে যে সমস্যা হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে। তবে, একই সঙ্গে বলব, বই ছাপার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের জায়গায় আরেকটু মনোযোগী হওয়া জরুরি। যাতে সামনে আর এই চ্যালেঞ্জের মুখে না পড়তে হয়। কারণ, এটি প্রতিবছরের নিয়মিত কাজ।

প্রশ্ন :

নতুন শিক্ষাক্রমে শিখনপ্রক্রিয়ায় শিক্ষকদের বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু প্রশিক্ষণ নিয়ে আমরা ঢিলেমি দেখলাম। দেরিতে হলেও মাধ্যমিকের বেশির ভাগ শিক্ষকের সশরীর প্রশিক্ষণ হয়েছে। কিন্তু প্রাথমিকে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরুই হয়নি। এতে কি নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছে না?

এম তারিক আহসান: আমি মনে করি, নতুন রূপরেখা অনুযায়ী যে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে, সেখানে যদি প্রাথমিক স্তরে সময়মতো কাজগুলো শুরু করা না যায়, তাহলে এটি এই কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করবে। এ জন্য পূর্বপরিকল্পনাটি জরুরি ছিল। প্রাথমিকের কিছু চ্যালেঞ্জ নিয়ে গত বছরও অনেক কথা হয়েছে। আমি মনে করি, এখন নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়ে গেছে, তাই এখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সমন্বয় খুব জরুরি। গত বছর এই সমন্বয়টি হয়নি বলেই এখন এই চ্যালেঞ্জটি তৈরি হয়েছে। মাধ্যমিকে কিন্তু পরীক্ষামূলকভাবেও নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণও হয়েছে। এখান থেকেও প্রাথমিকের শেখার আছে, যা কাজকে ত্বরান্বিত করবে।

প্রশ্ন :

আপনি দুই মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার কথা বললেন। কিন্তু সমন্বয়হীনতার ঘাটতি তো আগে থেকেই দেখা যাচ্ছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের শুরুতেও দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়ে গেছে। এটি কি নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে বাধা হবে না?

এম তারিক আহসান: অবশ্যই। তাই সমন্বয়ের কোনো বিকল্প নেই। কারণ, নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় নিরবচ্ছিন্নভাবে বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ প্রাক্‌-প্রাথমিক থেকে শুরু করে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা যেন ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ওঠে, সেটি মাথায় রেখেই এটি করা হয়েছে। তাই দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় অতি জরুরি। এই সমন্বয় জরুরি শিক্ষার্থীদের স্বার্থে এবং পুরো কার্যক্রমটি বাস্তবায়নের সাফল্যের জন্য।

প্রশ্ন :

নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে অনেক আশার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু শুরুটা হয়েছে আধাআধি প্রস্তুতিতে। ফলে এ নিয়ে বাস্তবিক অর্থে কতটা আশাবাদী হওয়া যায়?

এম তারিক আহসান: বাস্তবায়ন পরিকল্পনায় কতগুলো ধারাবাহিক সহায়তা কৌশল চিন্তা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ। এরপর পরামর্শমূলক সহায়তা দেওয়া হবে। আমি মনে করি, প্রথম দিকে যে সমস্যা হয়েছে, সেটি কাটিয়ে ওঠার জন্য এমন সহায়তা কৌশলটি দ্রুত শুরু করা উচিত। যাতে শিক্ষকেরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন, তা যেন এই সহায়তা থেকে পেয়ে যান। পাশাপাশি পুনরায় প্রশিক্ষণ যেন সময়মতো সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয়, তারও ব্যবস্থা করতে হবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ভবিষ্যৎমুখী শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য বাস্তবায়ন দলকেও অনেক বেশি ভবিষ্যৎমুখী হতে হবে। দীর্ঘসূত্রতা করলে চলবে না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা থেকে মুক্ত হয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সেটি শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি ত্বরান্বিত করতে হবে। সেদিকে মনোযোগী হওয়া জরুরি।

প্রশ্ন :

একটি বিষয় দেখা যায়, প্রতিবছরই পাঠ্যবই নিয়ে কিছু না কিছু ভুলভ্রান্তি ও বিভ্রান্তি হয়। এ ক্ষেত্রে যত্নের কোনো অভাব আছে বলে কি আপনি মনে করেন?

এম তারিক আহসান: পাঠ্যবইয়ের সম্পাদনাপ্রক্রিয়ায় আরও যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া এই কাজে যে সময় দরকার এবং মানুষকে যুক্ত করা দরকার, সেখানেও আরেকটু মনোযোগী হওয়া খুব জরুরি।

প্রশ্ন :

বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে আপনার কোনো পরামর্শ আছে?

এম তারিক আহসান: নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে নতুন যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, এর সুফল ভোগ করতে হলে আমাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে। অনেক জায়গায় নতুন কিছু পরিবর্তন হলে মানুষের মধ্যে উদ্বিগ্নতা বাড়ে। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলব, উদ্বিগ্ন হবেন না, একটু ধৈর্য ধরুন। পরিবর্তনের সুফল পেতে হলে বা এর ফল জানতে হলে একটু অপেক্ষা করতে হয়। এরপরও কিছু ভুল থাকলে তা থেকে শেখার সুযোগ আছে। সেই উপায়ও রাখা হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রমে। এ জন্য ধীরে ধীরে ২০২৭ সালে গিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম পুরোপুরিভাবে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রশ্ন :

আপনাকে ধন্যবাদ।

এম তারিক আহসান: প্রথম আলোকেও ধন্যবাদ।