বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রভাষকদের বনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের মানোন্নয়নে অক্টোবর থেকে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। প্রাথমিকভাবে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষকদের চার মাসব্যাপী বনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক প্রশিক্ষণ একাডেমির’ আওতায় এই প্রশিক্ষণ চলবে। এ জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ মডিউল তৈরি করা হচ্ছে।
আজ রোববার ইউজিসিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সভায় এসব কথা জানানো হয়। ইউজিসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের ‘স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান ফর হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ: ২০১৮-২০৩০’-এর অংশ হিসেবে ইউজিসি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। এর সম্ভাব্যতা যাচাই ও উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়নের কাজ চলছে।
আজকের সভায় জানানো হয়, প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক প্রশিক্ষণ একাডেমি প্রতিষ্ঠার আগপর্যন্ত বিভিন্ন সুবিধাজনক ভেন্যুতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রাথমিকভাবে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভাষকদের চার মাসব্যাপী বনিয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে ৬০ ভাগ একাডেমিক উন্নয়ন ও ৪০ ভাগ একাডেমিকের বাইরের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সভায় ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বাধ্যতামূলক কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। এটি করা গেলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বাড়বে।
সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক প্রশিক্ষণ একাডেমির অবকাঠামো চূড়ান্ত হওয়ার আগপর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির উপাচার্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মো. গোলাম সামদানি ফকির, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষক) এ কে এম মোশারফ হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট প্রশিক্ষণ একাডেমির পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক আবদুল্লাহ শামস বিন তারিক, বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মো. মোহসীন আলী প্রমুখ।