ফেসবুক ব্যবহারে এবার মাধ্যমিকের শিক্ষকদের সতর্ক করল মাউশি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথা ফেসবুকে সহকর্মী, প্রতিষ্ঠানপ্রধান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও কর্তৃপক্ষের গৃহীত সিদ্ধান্ত নিয়ে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

রোববার মাউশির এক ‘জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে’ এ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তার মতোই মাধ্যমিক পর্যায়ের সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিছু সদস্যকেও এসব কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। তাঁরা এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত না থাকলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত আগস্টে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরও এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মাউশি। গত মাসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে প্রাথমিকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদেরও সতর্ক করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ ক্ষেত্রে কী কী অনুসরণ করতে হবে, এ জন্য আট দফা তালিকাও দিয়েছিল অধিদপ্তর।

আরও পড়ুন

এবার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক-কর্মচারীদেরও এ বিষয়ে সতর্কবার্তা দিল মাউশি। ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার–সংক্রান্ত নির্দেশিকার’ তথ্য উল্লেখ করে জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাউশির অধীন মাধ্যমিক পর্যায়ের কিছু শিক্ষক-কর্মচারী ফেসবুকে তাঁদের ব্যক্তিগত ওয়ালে ও বিভিন্ন গ্রুপে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, সরকারি কর্মচারী আইন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষকদের চাকরির শর্ত বিধিমালা এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রকাশিত সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নির্দেশিকার পরিপন্থী।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এ নির্দেশনা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন প্রতিষ্ঠানপ্রধানেরা। কোনো শিক্ষক-কর্মচারী বা কোনো ব্যক্তি অন্যের কনটেন্ট কিংবা পোস্টে সংক্ষুব্ধ হলে ওই কনটেন্ট বা পোস্ট দেওয়া ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রমাণসহ মাউশিতে আবেদন করতে বলা হয়েছে এ জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে।