প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ নিয়ে বিদেশে পড়ার সুযোগ, আবেদন শেষ ৩০ মে

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট উচ্চশিক্ষায় ফেলোশিপ দেওয়ার জন্য আবেদন আহ্বান করেছে। পিএইচডি ও মাস্টার্স করতে ফেলোশিপ দিতে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের নাগরিকেরা শর্ত সাপেক্ষে পিএইচডি ও মাস্টার্সে পড়তে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ (মাউশি) থেকে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুসারে, বাংলাদেশের নাগরিক, যাঁরা এর আগে বিদেশে কোনো মাস্টার্স বা পিএইচডি করেননি, তাঁরাই ফেলোশিপের আওতায় মাস্টার্স বা পিএইচডির জন্য আবেদন করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে চাকরি স্থায়ী হলে এবং চাকরিতে প্রবেশের পর সরকারি সুবিধার আওতায় কোনো মাস্টার্স বা পিএইচডি করেননি, শুধু তাঁরাই আবেদন করতে পারবেন এ ফেলোশিপের জন্য। আবেদনকারীকে প্রত্যাশিত ডিগ্রির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিঃশর্ত অ্যাডমিশন অফার আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হবে। অ্যাডমিশন অফারে ভর্তির শেষ তারিখ এ বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে হতে হবে।

‘দ্য টাইম হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি ওভারঅল র‌্যাঙ্কিং ২০২২’ অনুযায়ী মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য ১ থেকে ২০০ এবং পিএইচডির জন্য ১ থেকে ১০০-এর মধ্যে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অফার লেটার আনতে হবে।

এই ফেলোশিপের আওতায় যেসব বিষয়ে অধ্যয়ন/গবেষণা করা যাবে

  • সোশ্যাল প্রটেকশন

  • এডুকেশন

  • উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট

  • পাবলিক হেলথ

  • ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট

  • পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জি

  • ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিকস

  • পাবলিক সেক্টর ম্যানেজমেন্ট

  • লিগ্যাল অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ

  • এনভায়রমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ

  • ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি

  • ডিপ্লোম্যাসি

  • অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি

  • অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস

প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের আর্থিক সুবিধা

  • ১. সম্পূর্ণ টিউশন ফি

  • ২. নির্ধারিত হারে মাস্টার্সের জন্য সর্বোচ্চ ১৮ মাস এবং পিএইচডির জন্য সর্বোচ্চ ৪৮ মাসের জীবনধারণ ভাতা

  • ৩. নির্ধারিত হারে স্বাস্থ্যবিমা ভাতা

  • ৪. এককালীন সংস্থাপন ভাতা

  • ৫. এককালীন শিক্ষা উপকরণ ভাতা

  • ৬. তৃতীয় দেশে একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ ব্যয়

ছবি: সংগৃহীত

ফেলোশিপের আওতায় প্রদেয় ভাতাদির নির্ধারিত হার গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিটের ওয়েবসাইটের এই লিংক থেকে জানা যাবে।

টোফেল ও আইইএলটিএস স্কোর কত
আবেদনের শেষ তারিখ পর্যন্ত টোফেল ও আইইএলটিএসের (একাডেমি) কার্যকর মেয়াদ থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইইএলটিএসে ৬ দশমিক ৫ আর টোফেলে ন্যূনতম ৮০ ও পিটিই একাডেমিকের ক্ষেত্রে মোট স্কোর হতে হবে ৫৯। এর কম স্কোর পাওয়া প্রার্থী আবেদন করতে পারবেন না।

আবেদনপদ্ধতি
আবেদনকারীকে ফেলোশিপের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এলিজিবিলিটি টেস্টে অংশ নিতে হবে। এ টেস্টে উত্তীর্ণ হলেই আবেদনকারী ফেলোশিপের ওয়েবসাইটে নিজের একটি ই-মেইল অ্যাকাউন্ট ও মুঠোফোন নম্বর ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আবেদনকারী তাঁর আবেদন তৈরি করতে ও জমা দিতে পারবেন। আবেদন জমা দিলেও সংশোধনের সুযোগ আছে। চাইলে একাধিকবার আবেদন সংশোধন করা যাবে। আবেদন জমা দেওয়ার পরই ই-মেইল ও মুঠোফোনে নিশ্চয়তাসূচক একটি বার্তা পাবেন আবেদনকারী। আবেদনের আইডি নম্বর সংরক্ষণ করতে হবে।

আবেদন আইডি নম্বরটি আবেদনপত্র ট্র্যাকিং ও ফেলোশিপ-সংক্রান্ত পরবর্তী যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হবে। অনলাইনে আবেদন সাবমিটের পর ওই আবেদনপত্রের প্রিন্ট করে নিতে হবে। এই প্রিন্ট কপি আবেদনের হার্ডকপি হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে আবেদনের হার্ডকপি পাঠানোর প্রয়োজন নেই।

তিনটি ক্যাটাগরিতে আবেদন গ্রহণ করা যাবে। বিসিএস ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তারা ‘বিসিএস সরকারি কর্মকর্তা’, অন্য সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ‘নন-বিসিএস সরকারি (বিসিএস ব্যতীত অন্যান্য)’ এবং বেসরকারি ব্যক্তিরা ‘বেসরকারি ক্যাটাগরি’তে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফরমে বিসিএস কর্মকর্তা ছাড়া অন্য সব সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা ‘নন-বিসিএস সরকারি (বিসিএস ছাড়া অন্যান্য)’ ক্যাটাগরিতে বিবেচিত হবেন।

ফেলোশিপ-সংক্রান্ত তথ্যের জন্য +৮৮০১৩১০৫৯৪৫১০ নম্বরে অফিস চলাকালীন (সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত) যোগাযোগ করা যেতে পারে। এ ছাড়া এ লিংকেও তথ্য জানা যাবে।

আবেদনের শেষ সময়
৩০ মে ২০২২ বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৫৯ মিনিট।