জাপানের মেক্সট বৃত্তি, ১৯৯৪ সালের ২ এপ্রিলের পর জন্ম হলেই আবেদন

প্রথম আলো ফাইল ছবি

বিদেশে পড়তে যেতে চান এমন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পছন্দের অন্যতম দেশ জাপান। নানা কারণের মধ্য পড়ালেখার মানও অন্যতম একটি কারণ। দেশটিও বিদেশি শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের স্কলারশিপ দেয়। এর একটি হলো মেক্সট স্কলারশিপ। আবেদন বা ভর্তি হতেও কোনো ফি লাগে না। মাসিক উপবৃত্তি, বিমানে যাতায়াত খরচসহ নানা সুযোগ-সুবিধা মেলে এ বৃত্তি পেলে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

জাপানে পড়াশোনার জন্য অন্যতম একটি বৃত্তি হলো ‘মেক্সট’/ MEXT। এটি আসলে MECSST। শব্দটি প্রকৃতপক্ষে Ministry of Education, Culture, Sports, Science and Technology। বড়সড় শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হলো ‘মেক্সট’।

১৯৫৪ সাল থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রায় ১৬০টির মতো দেশ থেকে আসা ছাত্রদের জন্য এ বৃত্তি দেয় জাপান সরকার। জাপান সরকার প্রদত্ত বৃত্তিগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে খ্যাতনামা আর সবচেয়ে সম্মানিত। এ বৃত্তির জন্য ভিসা পেলে ভিসাতে লেখা থাকে ‘Govt. Scholar’। জাপানের গবেষণার মাধ্যমে বৃত্তিপ্রাপ্তির দেশ এবং জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতু হয়ে ওঠা মানবসম্পদকে উৎসাহিত করা এবং উভয় দেশ ও বৃহত্তর বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যেই দেওয়া হয় এ বৃত্তি।

আবেদনকারীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের http://103.4.145.251:3030/ লিংকে আবেদন করতে হবে। ১০ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে। এই লিংক এরপর আর কার্যকর থাকবে না। আবেদনকারীকে লিংকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট সার্টিফিকেট, মার্কসিট, পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, সার্টিফিকেট, জাপানি ভাষার সনদ ও অন্যান্য সব ডকুমেন্টের সত্যায়িত কপিসহ আবেদনের হার্ড কপি জমা দিতে হবে। সচিবালয়ের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন অভ্যর্থনা কক্ষে নির্ধারিত বক্সে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।

‘মেক্সট’ আসলে কী—

জাপানে পড়াশোনার জন্য অন্যতম একটি বৃত্তি হলো ‘মেক্সট’ (এমইএক্সটি)। শব্দটি প্রকৃতপক্ষে মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন, কালচার, স্পোর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমইসিএসএসটি)। বড়সড় শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ হলো মেক্সট।

প্রথম আলো ফাইল ছবি
আরও পড়ুন

১৯৫৪ সাল থেকে শুরু করে বিশ্বের ১৬০টির মতো দেশ থেকে আসা ছাত্রদের জন্য এ বৃত্তি দেয় জাপান সরকার। জাপান সরকার প্রদত্ত বৃত্তিগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে খ্যাতনামা আর সবচেয়ে সম্মানিত। এ বৃত্তির জন্য ভিসা পেলে ভিসায় লেখা থাকে ‘গভট. স্কলার’। জাপানের গবেষণার মাধ্যমে বৃত্তি প্রাপ্তির দেশ এবং জাপানের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতু হয়ে ওঠা মানবসম্পদকে উৎসাহিত করা এবং উভয় দেশ ও বৃহত্তর বিশ্বের উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যেই দেওয়া হয় এ বৃত্তি।

বৃত্তিপ্রাপ্তদের নিজ নিজ দেশ থেকে জাপানে আসার জন্য ও ঠিক সময়ে ডিগ্রি শেষে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য বিমানভাড়া মেক্সট বহন করে থাকে। অন্য অনেক বৃত্তিতেই এ সুবিধা সচরাচর থাকে না।

আরও পড়ুন

বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো রকম টিউশন ফি, পরীক্ষার ফি বা অন্যান্য কোনো ফি দিতে হয় না। সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর যাবতীয় ফি মওকুফ এবং পাবলিক বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি ও অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করে দেশটি।

যেসব বিষয় নিয়ে পড়া যাবে—

গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, আর্থ সায়েন্স, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সিস্টেম অ্যান্ড কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ইকোনমিকস, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, কেমিক্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত ও কম্পিউটিং সায়েন্স, লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।

প্রথম আলো ফাইল ছবি

সুযোগ-সুবিধা—

*বৃত্তিপ্রাপ্তদের কোনো টিউশন ফি বা ভর্তি ফি দেওয়া লাগবে না;

*আবেদন করতেও লাগবে না কোনো ফি;

*আসা-যাওয়ার বিমান খরচও মিলবে;

*শিক্ষার্থীদের আইইএলটিএস বা টোয়েফল স্কোর দেখাতে হবে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা ও পরীক্ষা হয়েছে, সেটির প্রমাণ লাগবে

যোগ্যতার মানদণ্ড—

জাপানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে—এমন যেকোনো দেশের আন্তর্জাতিক ছাত্র হতে হবে।

আবেদনকারীদের অবশ্যই ১৯৯৪ সালের ২ এপ্রিল এবং ২০০৬ সালের ১ এপ্রিলের মধ্য জন্মগ্রহণকারী আগ্রহীরা আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের প্রক্রিয়া—

জাপানের বৃত্তির আবেদনসহ বিস্তারিত দেখতে এখানে ক্লিক করুন

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন