চীনের মফকম বৃত্তি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা, আইইএলটিএসে প্রয়োজন ৬
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের চীন সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নানা ধরনের আকর্ষণীয় স্কলারশিপ প্রদান করে। চীনের মিনিস্ট্রি অব ফিন্যান্সের অর্থায়নে তেমনই একটি স্কলারশিপ আছে। এর কেতাবি নাম মফকম স্কলারশিপ। বাংলাদেশিরাও এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে আবেদনের সময়সীমায় ভিন্নতা রয়েছে।
চীন এই মুহূর্তে দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। দেশটির পড়ালেখার মানও বিখ্যাত। এ স্কলারশিপের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্বের অন্যতম সেরা ইউনিভার্সিটির তালিকার প্রথম দিকেই আছে। এ স্কলারশিপ পেলে সম্পূর্ণ টিউশন ফি, বই ও ট্রেনিংসামগ্রীর জন্য ভাতাসহ যাবতীয় খরচ মেলে। এই স্কলারশিপের আওতায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে চীনের ২৭টি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অথবা দুই বছর মেয়াদি স্নাতকোত্তর ও তিন বছর মেয়াদি পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নের সুযোগ দিচ্ছে চীন সরকার।
আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এরপর আবেদনের প্রিন্ট কপি, পাসপোর্টের মেইন পেজের কপিসহ প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের সফট কপি ও হার্ড কপি (দুই সেট) আয়োজক সংস্থায় প্রেরণের জন্য অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে পাঠাতে হবে।
সুযোগ–সুবিধা
*সম্পূর্ণ টিউশন ফি পাবেন আবেদনকারী।
*স্নাতকোত্তরের জন্য বছরে ৩৬ হাজার ইউয়ান ভাতা মিলবে।
*পিএইচডিতে ৪৮ হাজার ইউয়ান ভাতা।
*স্থানান্তর ভাতা হিসেবে এককালীন তিন হাজার ইউয়ান।
*বিনা মূল্যে ক্যাম্পাসে আবাসনের সুবিধা।
*বই ও ট্রেনিংসামগ্রীর ভাতা।
*গবেষণার সহায়তা মিলবে।
*মেডিকেল ইনস্যুরেন্স প্রদান করবে।
*চীনে যাতায়াতের বিমান টিকিট প্রদান করবে (এক বছরের বেশি সময়ের কোর্স হলে প্রতিবছর একবার ভ্রমণের জন্য যাতায়াতের বিমান টিকিট)।
আবেদনের যোগ্যতা
*সরকারি কর্মচারী।
*রিসার্চ ফেলো ও ব্যবস্থাপনা খাতে তিন বছরের কাজের অভিজ্ঞতা।
*ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করা অভিজ্ঞ প্রফেশনালরা।
*বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
*বয়স ৪৫ বছরের কম হতে হবে।
*আইইএলটিএস স্কোর ৬ থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথিপত্র
*পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
*পাসপোর্টের কপি।
*আবেদনকারীর জীবনবৃত্তান্ত বা একাডেমিক সিভি।
*স্টেটমেন্ট, গবেষণা প্রস্তাবনা ও ক্যারিয়ার ভাবনা।
*দুটি রিকমেন্ডেশন লেটার।
*ইংরেজি ভাষাদক্ষতার প্রমাণপত্র (আইইএলটিএস)।
*ফরেন মেডিকেল সার্টিফিকেট।
*বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনপত্র।
*স্কলারশিপের জন্য পূরণ করা আবেদনপত্র।
আবেদনের প্রক্রিয়া
স্কলারশিপের জন্য দুভাবে আবেদন করা যায়। সংশ্লিষ্ট দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। আবার সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করলে স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশি। দূতাবাসের স্কলারশিপ থাকে নির্দিষ্ট ও প্রতিযোগিতামূলক। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু অনলাইনে আবেদন করলেই হয়, আবার কোথাও অনলাইনে আবেদনের সঙ্গে হার্ড কপিও পাঠাতে হয়। স্কলারশিপের আবেদনসংক্রান্ত সব বিষয় ওয়েব পেজে উল্লেখ থাকে।