কোরিয়া সরকারের ২ হাজার ২০০টি বৃত্তির খোঁজখবর

ছবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

বিদেশি অনেক শিক্ষার্থীর গন্তব্য এখন দক্ষিণ কোরিয়া। আর এ কারণে প্রতিবছর বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি। ২০১৫ সালে জিডিপির ভিত্তিতে কোরিয়া বিশ্বের ১১তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ছিল। দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা সর্বজনস্বীকৃত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নানা বৃত্তিও দেয়।

কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাত্রাবাস শিক্ষার্থীদের জন্য আদর্শ। আবার কেউ ক্যাম্পাসের বাইরে এক রুমের ফ্ল্যাটে, বোর্ডিং হাউসে বা কোরিয়ায় পরিবারের সঙ্গে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকার সুযোগও আছে। যদিও দেশটিতে ইংরেজির প্রচলন ব্যাপকভাবে হয় না, তবে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং তরুণেরা বেশ সাবলীলভাবে ইংরেজি বলতে পারেন।

দেশটির অন্যতম একটি বৃত্তি ‘গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ’। এটি কোরিয়ার গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ নামেও পরিচিত। দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্পূর্ণ অর্থায়িত স্কলারশিপ প্রোগ্রাম এটি। এ প্রোগ্রামের আওতায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা ২০২৪ সালে বৃত্তি নিয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন। এ প্রোগ্রামের আওতায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের ২ হাজার ২০০টি বৃত্তি দেওয়া হয়। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন

বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা—

  • সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি;

  • টিউশন নেই;

  • মিলবে মাসিক ভাতা;

  • চিকিৎসা বিমা;

  • গবেষণা ভাতা;

  • বিমানে যাতায়তের টিকিট;

  • ভাষা প্রশিক্ষণ;

  • কোরিয়ার ভাষার দক্ষতার জন্য পুরস্কার এবং

  • শিক্ষা সমাপ্তির জন্য অনুদান।

প্রথম আলো ফাইল ছবি

বৃত্তির মেয়াদ

  • স্নাতকোত্তর ডিগ্রি: ৩ বছর

  • ডক্টরাল ডিগ্রি: ৪ বছর

  • গবেষণা কার্যক্রম: ৬ মাস

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

আবেদনের প্রক্রিয়া

শেষ বর্ষ ও ফলাফলের জন্য অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থীরাও ‘গ্লোবাল কোরিয়া স্কলারশিপ’ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারী ও তাঁর মা–বাবা কোরিয়ার নাগরিক হতে পারবেন না। আবেদন করতে হবে নিজ দেশের কোরিয়া দূতাবাসের মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে আবেদন করার সময় শিক্ষার্থীকে অবশ্যই স্নাতকের প্রত্যাশিত একটি প্রশংসাপত্র জমা দিতে হবে।

*আবেদনের বৃত্তান্ত ও বৃত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে এখানে ক্লিক করুন

আরও পড়ুন