আইসিসিআর বৃত্তিতে নেই টিউশন ফি, মাসে ১৮–২২ হাজার রুপি, আবাসন–চিকিৎসাসহ অন্য সুবিধা

মডেল: রূপা, শিশির ও নীলাছবি: খালেদ সরকার

ভারতে উচ্চশিক্ষার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় বৃত্তি আইসিসিআর বৃত্তি। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (আইসিসিআর) বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এই বৃত্তি দেয়। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষেও বৃত্তির জন্য আবেদন গ্রহণ ২০ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। আবেদন করা যাবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।

মেডিসিন, প্যারামেডিকেল, ফ্যাশন, আইন ইত্যাদি সংক্রান্ত কোর্স বাদে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে। স্নাতক ও মাস্টার্সে পড়ার জন্য আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে হতে হবে। পিএইচডি করতে চাইলে সর্বনিম্ন বয়সসীমা ৪৫। ভর্তির পর শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকার সুযোগ পাবেন।

আরও পড়ুন

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ইংরেজির দক্ষতা প্রমাণের জন্য ৫০০ শব্দে একটি প্রবন্ধ লিখতে হবে। টোয়েফল, আইইএলটিএসের স্কোরও জমা দিতে পারেন। যদিও তা বাধ্যতামূলক নয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের নম্বরপত্র ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। আবেদনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ইংরেজিতে না থাকলে ইংরেজিতে অনুবাদ করে জমা দেওয়া যাবে। অনুবাদ ছাড়া কাগজপত্র গ্রহণ করা হবে না। আইসিসিআর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বার্ষিক ন্যূনতম ৫ লাখ ভারতীয় রুপি বা ৬ হাজার ৮০০ মার্কিন ডলারের মেডিকেল বিমা করা বাধ্যতামূলক।

প্রতীকী ছবি: প্রথম আলো
আরও পড়ুন

প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রায় ২০০ মেধাবী শিক্ষার্থী এই বৃত্তির মাধ্যমে পড়ার সুযোগ পান। তাঁদের মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ১৪০, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৪০ ও পিএইচডিতে ২০ জন। ২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ‘সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন’ অনুষ্ঠানে এসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘সুবর্ণজয়ন্তী স্কলারশিপ’ নামের একটি স্কিমের ঘোষণা দেন। এই স্কিমের আওতায় আরও ৫০০ আসন বৃদ্ধি করা হয়। এ ছাড়া ‘লতা মঙ্গেশকর ডান্স অ্যান্ড মিউজিক স্কলারশিপ’ নামেও একটি স্কিম আছে আইসিসিআর–এর অধীন। এই বৃত্তির আওতায় স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডির জন্য আবেদন করা যাবে।

আরও পড়ুন
মেডিসিন, প্যারামেডিকেল, ফ্যাশন কোর্স বাদে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
ছবি: সংগৃহীত

বৃত্তির সুযোগ-সুবিধা

*এ বৃত্তি পেতে আবেদন করার জন্য কোনো ফি লাগবে না;
*শিক্ষার্থীদের কোনো টিউশন ফি দিতে হয় না;
*কোর্স অনুসারে শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে স্টাইপেন্ড পাবেন। স্নাতকে ১৮ হাজার রুপি, স্নাতকোত্তরে ২০ হাজার রুপি ও পিএইচডির জন্য ২২ হাজার রুপি;
*শিক্ষার্থীরা আবাসন খরচ বাবদ প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৫০০ রুপি পাবেন;
*এ ছাড়া চিকিৎসাসহ অন্য সুবিধা পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন