একাদশের শিক্ষার্থীরা পাবেন ৮০০০ টাকা সহায়তা, আবেদন চলছে

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট

অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের কলেজে ভর্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা দেয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট। একাদশ শ্রেণি ও আলিম প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া অসচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা বাবদ ৮ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। এ টাকা পেতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের অনলাইনে আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। আবেদনের সময় ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তিসহায়তা পেতে আবেদন করতে পারবেন।

সময় বাড়ানো-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিকৃত অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে ভর্তিসহায়তার আবেদনের সময় বাড়ল। ভর্তিসহায়তা পেতে শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

আরও পড়ুন

সহায়তা পাওয়ার শর্ত—

  • সরকারি-আধা সরকারি-স্বায়ত্তশাসিত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সন্তানেরা আর্থিক অনুদান পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে। অন্যান্য ক্ষেত্রে মা-বাবা বা অভিভাবকের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকার কম হতে হবে।

  • ই-ভর্তিসহায়তা ব্যবহার নির্দেশিকা অনুসরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে সিস্টেম ব্যবহার করে আবেদন করা যাবে।

  • শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ভর্তিসহায়তা নির্দেশিকা’ অনুসারে শিক্ষার্থীরা কলেজে ভর্তিতে আর্থিক সহায়তা পাবে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাসহায়তা ট্রাস্ট দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তিসহায়তা দিয়ে থাকে। বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৮ হাজার টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে ভর্তিসহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

  • ভর্তিসহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের ছবি, জন্মনিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ধারিত ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের সুপারিশ প্রয়োজন হবে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে মা-বাবা বা অভিভাবকদের কর্মরত প্রতিষ্ঠানপ্রধানের প্রত্যয়ন বা সুপারিশ প্রয়োজন হবে।

  • ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আবেদনের চার থেকে ছয় মাস পর টাকা পাঠানো হয়। শিক্ষার্থী ভর্তিসহায়তার জন্য নির্বাচিত হলে তার মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা: তিনটি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে, একটি ঢাকায়

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন