অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যাজুয়েট ভিসা নেওয়া যাবে একবারই

অস্ট্রেলিয়ার গ্র্যাজুয়েট ভিসা নেওয়া যাবে একবারই
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ায় স্নাতকপরবর্তী গ্র্যাজুয়েট ভিসার দ্বিতীয় দফায় আবেদনের সুবিধা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে বহুল জনপ্রিয় এই সাবক্লাস ৪৮৫ টেম্পোরারি গ্র্যাজুয়েট ভিসা। ভিসাটির মাধ্যমে সদ্য স্নাতক বা সমমানের ডিপ্লোমা পাস করা শিক্ষার্থীরা কর্ম–অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এক থেকে চার বছর মেয়াদে অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের সুযোগ পেয়ে থাকেন। ভিসার জন্যই অনেকে পড়াশোনার জন্য অস্ট্রেলিয়াকে বেছে নেন। তবে সরকারের নতুন অস্থায়ী অভিবাসন নীতিমালা অনুযায়ী, এ ভিসার ‘ডিপেন্ডেন্ট’ ভিসাধারীরা নতুন করে মূল আবেদনকারী হিসেবে ভিসা পাবেন না। এর আগে এই শিক্ষার্থী ভিসায় স্বামী-স্ত্রী দুজনেই পড়াশোনা করতে পারতেন এবং পরে আলাদা আলাদা ভিসা আবেদনের সুযোগ ছিল।

একজন শিক্ষার্থী একবারই সাবক্লাস ৪৮৫ ভিসায় আবেদন করতে পারলেও তাঁর ‘ডিপেন্ডেন্ট’ ভিসাধারী, অর্থাৎ স্বামী বা স্ত্রী নতুন করে প্রধান আবেদনকারী হিসেবে সাবক্লাস ৪৮৫ ভিসায় আবেদন করতে পারতেন। অভিবাসনের আইনের পরিবর্তনের কারণে এখন থেকে সে সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। পরিবর্তিত নীতিমালায় বিপাকে পড়বেন অনেক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ও তাঁদের স্বামী–স্ত্রীরা। কেননা, এমন অনেক শিক্ষার্থীই রয়েছেন, যাঁরা মূলত ডিপেন্ডেন্ট ভিসাধারী এবং স্বল্প সময়ের মধ্যেই স্নাতক পাস করবেন। তবে ইতিমধ্যে যাঁরা আবেদন করেছেন, তাঁদের ওপর নতুন এ নীতিমালার কোনো প্রভাব পড়বে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

তবে যদি কেউ অস্ট্রেলিয়ার আঞ্চলিক কোনো এলাকায় বসবাস করেন, তাহলে দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সাবক্লাস ৪৮৫ টেম্পোরারি গ্র্যাজুয়েট ভিসায় আবেদন করলে ক্যাটাগরি অনুসারে ১ অথবা ২ বছর মেয়াদের ভিসা দেওয়া হবে বলেও নতুন একটি নীতিমালা রয়েছে। আর এ সুবিধা পেতে সাবক্লাস ৪৮৫ ভিসার মূল ভিসাধারীকে অবশ্যই কমপক্ষে গত দুই বছর অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো আঞ্চলিক এলাকা, অর্থাৎ সিডনি, মেলবোর্নের মতো মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে বসবাস করতে হবে। আবশ্যিক শর্ত হিসেবে আরও থাকছে ভিসাধারীর পড়াশোনা ও কর্ম—এ দুটিও আঞ্চলিক এলাকাতেই হতে হবে। তবেই এ ভিসার দ্বিতীয় ধাপে মিলবে বাড়তি এক থেকে দুই বছর মেয়াদ। পাশাপাশি তাঁদের অন্যান্য বাড়তি সুবিধাও দেবে দেশটির সরকার। এ ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থী ভিসা সাবক্লাস ৫০০–তে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।

*লেখক: কাউসার খান, অভিবাসন আইনজীবী, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া