মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারী ২ হাজার শিক্ষার্থী পেলেন ভারতের বৃত্তি

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারী উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া শিক্ষার্থী এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক শিক্ষার্থী এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি পাচ্ছেন

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ভারত সরকার প্রতিবছর মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের বৃত্তি প্রদান করে। এ বছর ২ হাজার শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পাচ্ছেন। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের ১ হাজার করে মোট ২ হাজার শিক্ষার্থী ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’-এর আওতায় এ বৃত্তি পাচ্ছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারী উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এ বছরের বৃত্তি প্রদান শুরু হয়েছে। ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

হাইকমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় এবং জনগণের উন্নতির জন্য বাংলাদেশের জাতীয় প্রচেষ্টাকে সমর্থনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের ধারাবাহিকতায় কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও এই বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের ২ হাজার শিক্ষার্থী বাছাইয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করেছে। এ বছর থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগের সঙ্গে ডিরেক্ট ব্যাংক ট্রান্সফার (ডিবিটি) পদ্ধতির মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বৃত্তির টাকা সরাসরি জমা হবে।

ভারত সরকার ২০০৬ সালে মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারীদের জন্য ‘মুক্তিযোদ্ধা বৃত্তি প্রকল্প’ শুরু করেছিল। প্রাথমিকভাবে উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছিল। স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবছর ২৪ হাজার টাকা করে চার বছর এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা করে দুই বছর বৃত্তি হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় নতুন বৃত্তি প্রকল্প ঘোষণা করা হয়। নতুন বৃত্তি প্রকল্পের অধীনে পরবর্তী ৫ বছরে ১০ হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বৃত্তি পাবেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা উত্তরাধিকারী উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ২০ হাজার টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে বৃত্তি দেওয়া হবে। উভয় প্রকল্পের জন্য ভারত সরকার ৩৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮২ জন শিক্ষার্থী এই প্রকল্পের আওতায় বৃত্তি পেয়েছেন। এ খাতে ৩৭ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।