চার বছর আগে বিদায় নেওয়া সিইওকে কড়া ভাষায় চিঠি

ইয়াহুর সাবেক সিইও ম্যারিসা মেয়ার। তবে ছবিটি যখন তোলা, তখন তিনি গুগলে কর্মরত ছিলেন
ম্যাগনাস হোইজ / ফ্লিকার

তাঁরা সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশগুলোর একটির আইনপ্রণেতা। প্রয়োজনে কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে কড়া ভাষায় চিঠি লিখতে তাঁদের বাধা নেই। তবে সে চিঠি পাঠানোর আগে খানিকটা খোঁজখবর নেওয়া উচিত ছিল। বিশেষ করে যাকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে, তিনি এখনো সে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন কি না, পদবি একই আছে কি না, এসব জেনে নিতে পারতেন।

মার্কিন কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের ১১ রিপাবলিকান সদস্য ১৩টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠির ভাষ্য হলো, গত জানুয়ারিতে দেশটির ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলাবিষয়ক কিছু তথ্য ডেমোক্র্যাটরা চেয়েছে বলে সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ডেমোক্র্যাটদের তথ্য না দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে। প্রতিষ্ঠানগুলো যদি তথ্য দেয়, তবে আইনি পদক্ষেপের হুমকি দেওয়া হয়েছে। তবে সমস্যাটা ভিন্ন জায়গায়।

ইয়াহুর কাছে যে চিঠি পাঠানো হয়েছে, সেখানে প্রাপক হিসেবে ম্যারিসা মেয়ারের উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ ম্যারিসা সেই ২০১৭ সাল থেকেই ইয়াহুর প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে নেই। সেটি চার বছর আগের ঘটনা, সাম্প্রতিক কোনো পরিবর্তন নয়।

আমাজন, এওএল, অ্যাপল, এটিঅ্যান্ডটি, ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট, স্ন্যাপ, টি-মোবাইল, টুইটার, ইউএস সেলুলার এবং ভেরাইজনের প্রধানদের কাছেও চিঠি পাঠিয়েছেন ওই কংগ্রেস সদস্যরা। সেগুলো আপাতদৃষ্টে নির্ভুল বলেই মনে হচ্ছে। তবে কংগ্রেস সদস্যরা সময়ের চেয়ে খানিকটা পিছিয়ে আছেন বলে লেখা হয়েছে এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে।

গত বছরগুলোতে ফেসবুক, গুগল, টুইটারসহ অনেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কংগ্রেসে তলব করা হয়। তবে কংগ্রেস সদস্যদের প্রশ্নের ধরন থেকে পরিষ্কার যে তাঁরা প্রযুক্তি সম্পর্কে তেমন ধারণা রাখেন না। এতে প্রশ্ন ওঠে, তাঁরা যখন প্রযুক্তিবিষয়ক আইন প্রণয়ন বা পরিবর্তন করবেন, তখন সেটা কতটুকু কার্যকর হবে। ইয়াহুর সাবেক সিইওকে পাঠানো চিঠিতে কেবল এক তা কাগজ আর খামের অপচয় হয়েছে। ভুল আইনে এত অল্পে পার পাওয়া যাবে না বলে এনগ্যাজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।