ভাঁজ করা ফোন আনছে এলজি

এলজি ওএলইডি প্যানেল
ছবি : এলজির সৌজন্যে

প্রযুক্তি বিশ্বে এখনকার নতুন ট্রেন্ড হচ্ছে ভাঁজ করা ফোন। আগামী বছরের মার্চ মাস নাগাদ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান এলজি নতুন একটি ভাঁজ করা স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। কোরিয়ার শিল্পবিষয়ক অনলাইন দ্য ইলেক–এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এলজির পক্ষ থেকে গত মাসে এক অনুষ্ঠানে নতুন ভাঁজ করা ফোনটি দেখানো হয়েছে।

দ্য ইলেক–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলজির ফোনটি তৈরি করা হচ্ছে ‘প্রজেক্ট বি’ কোডনাম দিয়ে। ফোনটিতে এমন ফিচার থাকবে যাতে ফোন পাশ থেকে ও পেছন থেকে ভাঁজ করে ফেলা যাবে।

এলজি এক্সপ্লোরার প্রকল্পের অধীনে এটি হবে দ্বিতীয় ভাঁজ করা ফোন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিক অর্থাৎ, জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে পরবর্তী ফ্ল্যাগশিপ ফোন বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। নতুন এ স্মার্টফোনটিতে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৭৫ চিপসেট ব্যবহার করা হতে পারে।

গত বছরে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি অফিসে ভাঁজ করা ফোনের ১০টি পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছিল এলজি। এরপর থেকেই এলজির ভাঁজ করা স্মার্টফোন ঘিরে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে। ট্রেডমার্ক অ্যাপ্লিকেশনে স্মার্টফোনের কোডনাম নিয়ে অবশ্য বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। যে নামগুলো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল সেগুলো হচ্ছে রোল, ডাবল রোল, ই–রোল, সিগনেচার আর, আর স্ক্রিন, আর ক্যানভাস, ডুয়াল রোল, রোল ক্যানভাস, বাই–রোল ও রোটলো।

ভাঁজ করা ডিভাইস বা প্রযুক্তি পণ্যের বাজারে এলজি একেবারে নতুন নয়। এর আগে ভাঁজ করা টিভি এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগেই ভাঁজ করা ফোন সম্পর্কে নানা তথ্যও দিয়েছে।

এর আগে স্বচ্ছ ভাঁজ করা ডিভাইসের পেটেন্ট পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ–এর তথ্য অনুযায়ী, এলজির কাছে স্বচ্ছ ফোল্ডেবল ডিসপ্লের পেটেন্ট রয়েছে। ২০১৫ সালে আবেদন করলেও গত বছর তার অনুমোদন পেয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি। এটি যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেডমার্ক অ্যান্ড পেটেন্ট অফিস থেকে অনুমোদন পাওয়া।