সাইবার হামলার ঝুঁকিতে অর্ধেকের বেশি চিকিৎসাযন্ত্র

সাইবার হামলার প্রতীকী ছবিছবি: সংগৃহীত

সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে জীবন বাঁচাতে ব্যবহার করা চিকিৎসাযন্ত্রও। কারিগরি ত্রুটির কারণে সাইবার অপরাধীরা চাইলে এসব যন্ত্রে হামলা চালিয়ে রোগীর তথ্য চুরিসহ ভুল ফলাফল দেখাতে পারে। তবে সব যন্ত্র নয়, ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকা যন্ত্রগুলোই সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। এক নিরাপত্তা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে সাইনেরিও। ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম (আইওটি) চিকিৎসাযন্ত্র তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি।

ইনফিউশন পাম্প
ছবি : রয়টার্স

হাসপাতালে থাকা বেশির ভাগ জীবন রক্ষাকারী যন্ত্রই পুরোনো সংস্করণের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে। এমনকি পাসওয়ার্ডগুলোও পূর্বনির্ধারিত (ডিফল্ট) থাকে। ফলে নিরাপত্তা দুর্বল থাকায় অপরাধীরা দূর থেকেই সাইবার হামলা চালিয়ে যন্ত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।

সাইনেরিওর এক গবেষণায় দেখা গেছে, ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৫৩ শতাংশ চিকিৎসাযন্ত্রেই নিরাপত্তা ত্রুটি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই বড় ধরনের আক্রমণের শঙ্কায় রয়েছে। বিভিন্ন দেশের প্রায় ৩০০ হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে থাকা এক কোটির বেশি যন্ত্রের ওপর এ নিরীক্ষা চালানো হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, হাসপাতালের বিভিন্ন চিকিৎসা যন্ত্রের মধ্যে ৭৩ শতাংশ ইনফিউশন (আইভি) পাম্পই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। রোগীর শরীরে পুষ্টিকর খাবার বা ওষুধ তরল আকারে দিতে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়। ফলে কোনো কারণে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত যন্ত্রটির নিয়ন্ত্রণ সাইবার অপরাধীরা নিতে পারলে রোগীর জীবন বিপন্ন হতে পারে।

এছাড়া ইমেজিং মেশিনগুলোও এ হামলার আশংকায় থাকায় এক্সরে থেকে শুরু করে সিটিস্ক্যান, এমআরআই, আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করতে সমস্যা হতে পারে। বিভিন্ন কাজে সহায়তা করা কিয়স্ক থেকে শুরু করে হাসপাতালের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে সাইবার অপরাধীরা।

এ বিষয়ে সাইনেরিওর প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা ড্যানিয়েল ব্রডি জানান, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অনলাইন থেকে বেশি তথ্য জানার দরকার নেই। তাদের সাইবার হামলা থেকে রক্ষার জন্য উন্নত প্রযুক্তি বেশি প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, গত মাসেই সাইবার হামলার শিকার হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগ। সাইবার অপরাধীদের হামলায় প্রায় এক সপ্তাহ করোনা পরীক্ষার ফলাফল জানাতে পারেনি তারা।

সূত্র: জেডডিনেট