অ্যাপল যেখানে, মাইক্রোসফটও সেখানে

বাজারমূল্যের বিচারে বিশ্বের প্রথম ‘ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবে’ যোগ দিয়েছিল অ্যাপল। অর্থাৎ সে সময় তাদের সব শেয়ার বিক্রি করে দিলে পাওয়া যেত অন্তত এক লাখ কোটি ডলার।

আদতে এ ধরনের কোনো ক্লাব নেই। তবে চমৎকার ব্যবসায়িক পারফরম্যান্সের জন্য বিশেষ করে গণমাধ্যমে ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাব হিসেবে উল্লেখ করা শুরু হয়।

অ্যাপলের পর অনেকেই সে ক্লাবে জায়গা করে নিলেও অ্যাপল তো আর থেমে থাকেনি। তারা বিশ্বের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে পৌঁছে যায় দুই ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবে। সেটা গত বছরের আগস্টের ঘটনা।

নতুন খবর হলো, গতকাল মঙ্গলবার মাইক্রোসফটও অ্যাপলকে ছুঁয়ে ফেলেছে। শেয়ারের দর ১ দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে দ্বিতীয় মার্কিন প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের বাজার মূলধন দুই লাখ কোটি ডলারে পরিণত হয়।

অ্যাপল দুই ট্রিলিয়ন ডলার ক্লাবে পৌঁছানোর মাস দশেক পর মাইক্রোসফট সেখানে পৌঁছাল। অ্যাপলের বর্তমান বাজার মূলধন প্রায় ২ লাখ ২৩ হাজার কোটি ডলার।

জ্বালানি তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সৌদি অ্যারামকো স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার বিক্রি শুরুর দ্বিতীয় দিনেই দুই লাখ কোটি ডলার বাজার মূলধনের মাইলফলক ছোঁয়। তবে বর্তমানে পরিমাণটা ১ লাখ ৮৮ হাজার কোটি ডলারের আশপাশে।

করোনাকালে অন্যান্য বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের মতো মাইক্রোসফটের শেয়ারের দরও ব্যাপক হারে বেড়েছে। এর কারণ মূলত লকডাউনে থাকায় অনেকেই অফিসের বাইরে থেকে কাজ এবং শিক্ষাগ্রহণ শুরু করেন। এতে মাইক্রোসফটের ক্লাউড কম্পিউটিং সেবার চাহিদা বেড়ে যায়।

দুই প্রতিষ্ঠানের দুই সিইও। অ্যাপলের সিইও টিম কুক, ডানে মাইক্রোসফটের সত্য নাদেলা
রয়টার্স, এএফপি

২০২০ সালের মার্চে লকডাউন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফটের শেয়ারের মূল্য বেড়েছে ৬৪ শতাংশ।

গত এপ্রিলে ২০২০ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে মাইক্রোসফট। সেখানে দেখা যায়, ঠিক এক বছর আগের তুলনায় মোট আয় ১৯ শতাংশ এবং মুনাফা ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সত্য নাদেলা সে সময় বলেছিলেন, ‘অতিমারির এক বছরের বেশি পেরিয়েও ডিজিটাল অ্যাডপশন রেখায় নিম্নগতি দেখা যাচ্ছে না। সেটি বাড়ছে এবং এটা কেবলই শুরু।’

এদিকে আমাজন এবং গুগলও দুই ট্রিলিয়ন ক্লাবে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বাজার মূলধনের বিচারে বড় প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় তিনে আছে আমাজন (১ লাখ ৭৬ হাজার কোটি ডলার), এরপরেই গুগল (১ লাখ ৬৭ হাজার কোটি ডলার)।