আইসিটি বিভাগের সঙ্গে চার প্রকল্প নিচ্ছে হুয়াওয়ে

বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হুয়াওয়ের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান
ছবি: সংগৃহীত

দেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের প্রবৃদ্ধি বাড়ানো, কর্মসংস্থান তৈরি এবং তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ও বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ) সঙ্গে হুয়াওয়ের একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।

বাংলাদেশ আইসিটি কমপিটিশন-২০২০, আইসিটি জয়েন্ট ইনোভেশন সেন্টার, হুয়াওয়ে আইসিটি অ্যাকাডেমি ও কিউরেটিং বাংলাদেশি স্টার্ট আপস—নামে এ চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে আইসিটি বিভাগ ও হুয়াওয়ে। আইসিটি কমপিটিশন ২০২০, আইসিটি জয়েন্ট ইনোভেশন সেন্টার এবং কিউরেটিং বাংলাদেশি স্টার্ট আপস নামের প্রকল্প তিনটি আয়োজনে হুয়াওয়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বিসিসি। হুয়াওয়ে আইসিটি অ্যাকাডেমি প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করবে বিএইচটিপিএ। এক বিজ্ঞপ্তিতে হুয়াওয়ে এ খবর জানিয়েছে।

আমাদের সমস্ত উদ্যোগ এবং প্রকল্পগুলো তরুণ, আইসিটি এবং কর্মসংস্থান নির্ভর। তরুণ শিক্ষার্থী, গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ে উদ্ভাবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে সহায়তা করবে এই সমঝোতা।
জুনাইদ আহমেদ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সমস্ত উদ্যোগ এবং প্রকল্পগুলো তরুণ, আইসিটি এবং কর্মসংস্থান নির্ভর। তরুণ শিক্ষার্থী, গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যায়ে উদ্ভাবকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে সহায়তা করবে এই সমঝোতা। একই সঙ্গে হুয়াওয়ের উদ্ভাবিত বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তিগুলোর অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগও তৈরি হবে।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, নতুন ও পরিবর্তনশীল সময়ের সঙ্গে খাপ খাইয়ে দেশের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে তরুণদের মধ্যে আইসিটি খাতে দক্ষতা থাকা অনিবার্য। এ উদ্যোগ বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে আইসিটি বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির উৎসাহ তৈরি করবে।

দুই মাসব্যাপী ‘বাংলাদেশ আইসিটি কমপিটিশন ২০২০’ কর্মসূচিটি আগামী ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে। এতে বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন। ‘আইসিটি জয়েন্ট ইনোভেশন সেন্টার’ কর্মসূচিতে বিসিসি ও হুয়াওয়ের সমন্বয়ে একটি যৌথ দল গঠন করা হবে, যার উদ্দেশ্য হবে সরকারি মালিকানাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) কাঠামো তৈরিতে সহায়তা করা।

শিল্প খাত ও একাডেমির মধ্যে আইসিটি বিষয়ক জ্ঞান ও দক্ষতার মধ্যে ব্যবধান দূর করার জন্য ‘হুয়াওয়ে আইসিটি অ্যাকাডেমি’ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি প্রাসঙ্গিক প্রশিক্ষণ দেবে। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টারে একটি করে আইসিটি একাডেমির কাঠামো এবং ধারণা প্রতিষ্ঠা করা হবে, যার দায়িত্বে যৌথভাবে নিয়োজিত থাকবে হুয়াওয়ে ও বিএইচটিপিএ। ‘কিউরেটিং বাংলাদেশ স্টার্টআপ প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, উদ্যোক্তা, গবেষক, বিনিয়োগকারী, সরকারসহ যেকোনো পক্ষ একসঙ্গে আইসিটি পণ্য উদ্ভাবনে কাজ করবে।

ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক ও এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএইচটিপিএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিসিসির নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব প্রমুখ।