আরিফিন শুভর নতুন মিশন

অক্টোবরের ৫ তারিখ বিনা নোটিশেই আরিফিন শুভর বাসায় এল এই কালো ব্রিফকেস
ছবি: সংগৃহীত

অক্টোবরের ৫ তারিখ বিনা নোটিশেই আরিফিন শুভর বাসায় এল কালো একটা ব্রিফকেস! কে পাঠাল, কারা পাঠাল, কেনই–বা পাঠাল, কিছুই জানেন না তিনি। খোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরদিনই তাঁর হাতে এল একটা স্ক্রল, যাতে লেখা ‘৩ মিনিট লঞ্চের জন্যে প্রস্তুত হোন…।’ ৭ তারিখে আরও একটা, এবার লেখা, ‘মিশন কোড প্রো-এর জন্য প্রস্তুত হোন। ১২ অক্টোবর দেখুন কতটা দ্রুততার সাথে কাজটা করতে পারেন।’ এবার বেশ খানিকটা ভ্যাবাচেকাই খেলেন আরিফিন শুভ।

কিছুই বুঝতে না পেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের ভক্তদের কাছে সাহায্যই চেয়ে বসেন দেশের অন্যতম প্রিয় এই অভিনেতা। অজানা মিশনের জন্য যেন খুঁজতে লাগলেন নতুন এক সঙ্গী। অজানাকে জয়ের অবাধ্য নেশাই যাঁকে এত দূর নিয়ে এসেছে, তিনি যে কিছুতেই পিছপা হবেন না। সেই মিশন স্পেশালিস্টকে নিয়েই জয় করবেন ১২ তারিখের মিশন। কিন্তু কী এ মিশন, তা নিজেও জানেন না শুভ। শুধু নামটাই জানা—মিশন কোড প্রো।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই শুভ পেয়ে গেলেন নতুন মিশনের সহযোদ্ধা। ১১ অক্টোবর তাঁর নাম প্রকাশ করে জানালেন, তাঁকে নিয়েই ১২ তারিখ মিশন কোড প্রো-তে যাচ্ছেন তিনি। যেমন বলা তেমনই কাজ। ব্রিফকেস আর মিশন স্পেশালিস্টকে নিয়ে চললেন স্ক্রলে থাকা ঠিকানায়। কিন্তু এ কী! এ তো রিয়েলমির সেভেন আই ও সেভেন প্রো লঞ্চ ইভেন্ট!

টেক ট্রেন্ডি তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমির নতুন স্মার্টফোন সেভেন প্রো–এর উন্মোচন চলছে। সেই অনুষ্ঠান শুরুর ঘোষণা উপস্থাপিকা দেওয়ার পরপরই ঘটল বিপত্তি। হঠাৎ ব্ল্যাকআউট! সবাই পড়ে গেলেন মহাচিন্তায়।

আচমকাই স্ক্রিনে একটা লেখা ভেসে উঠল, ‘৩ মিনিটের ভেতর লঞ্চ না হলে…।’ উপস্থাপিকাও চিন্তিত হয়ে বললেন, ‘না হলে কী হবে?’ এরপরই স্ক্রিনে ভেসে উঠল ‘ব্রিফকেসে বিস্তারিত দেওয়া আছে। আর ব্রিফকেসের পাসকোড পেতে হলে করতে হবে পাজলের সমাধান।’

সবার চোখ তখন আরিফিন শুভর দিকে। তিনিও চিন্তায় পড়ে গেছেন। বিদ্যুৎ না এলে নতুন ডিভাইসের উন্মোচন হবে কীভাবে?

মিশন স্পেশালিস্টের সঙ্গে ব্রিফকেসটা খোলার চেষ্টা করলেন তিনি, করলেন স্ক্রিনে দেওয়া পাজলের সমাধান। অবশেষে খুলতে পারলেন রহস্যজনক ব্রিফকেসটি! প্রথমবারের মতো দেখলেন কী আছে ব্রিফকেসের ভেতর—একটি স্মার্টফোন, সুপার ডার্ট চার্জারের সঙ্গে ক্যাবল, পাওয়ার ব্যাংক, স্মার্টওয়াচ আর একটা স্মার্টব্যান্ড। কিন্তু এগুলো দিয়ে কী হবে?

খুব বেশিক্ষণ ভাবতে হলো না। ব্রিফকেসে থাকা একটি স্ক্রলে লেখা, ‘আশেপাশে থাকা সবগুলো ফোন চার্জ করে দেখ কোনটি ৩ মিনিটে ১৩% চার্জ হয়। যে ফোনটি ১৩% চার্জ হবে, সে ফোনেই আছে পাওয়ার আপ বাটন!’

কিন্তু বিধিবাম! ব্রিফকেসের ফোন ও মিশন স্পেশালিস্টের ফোন, কোনোটাতেই চার্জ নেই! দ্রুত চার্জারে ফোন দুটোকে কানেক্ট করলেন শুভ। মিশন স্পেশালিস্টের স্মার্টফোন ৩ মিনিটে চার্জ হলো মাত্র ৩% আর ব্রিফকেসে থাকা ফোন চার্জ হলো ৩ মিনিটে ১৩%।

চার্জ হওয়ামাত্রই শুভ ফোনটি অন করলেন, স্ক্রিনে ভেসে ওঠা পাওয়ার আপ বাটনে চেপে, বিদ্যুৎ–সংযোগ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে এলেন!

উপস্থাপিকা উঠে এলেন মঞ্চে। পেছনে থেকে শোনা গেল, ‘একজনই শুধু এমন মিশন জয় করতে পারেন। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলেন “ফেস অব রিয়েলমি স্মার্টফোন”—আরিফিন শুভ।’

উপস্থাপিকা মঞ্চে আরিফিন শুভকে স্বাগত জানিয়ে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কীভাবে মাত্র ৩ মিনিটে মিশন কমপ্লিট করা সম্ভব?’

শুভ জানালেন, তিনি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে মিশন যারা দিয়েছিল তারা এটাই ভুল করেছে যে ব্রিফকেসে চার্জবিহীন রিয়েলমি ৭ প্রো দিয়েছে। রিয়েলমি ৭ প্রো-তে আছে দেশের দ্রুততম চার্জিং টেকনোলজি—৬৫ ওয়াট সুপার ডার্ট চার্জ! ফলে রিয়েলমি ৭ প্রো মাত্র ৩ মিনিটে ১৩% চার্জ হয়। আর এই চার্জে আড়াই ঘণ্টারও বেশি ইউটিউবিং, ২ ঘণ্টারও বেশি ইনস্টাগ্রাম সার্ফিং ও ৩ রাউন্ড পাবজি খেলা সম্ভব! রিয়েলমি ৭ প্রো শুভর কাছে তাই দ্য আল্টিমেট ফ্ল্যাগশিপ! মিশন ব্যর্থ করার শত চেষ্টা করেও রিয়েলমি ৭ প্রো দিয়ে আরেকটি মিশন জয় করে নিলেন আরিফিন শুভ।

উল্লেখ্য, রিয়েলমি ৭ প্রো-তে ৬৫ ওয়াট সুপার ডার্ট চার্জারের পাশাপাশি থাকছে ফুল এইচডি প্লাস রেজল্যুশনের ৬ দশমিক ৪ ইঞ্চির সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে। রিয়েলমি ৭ প্রো–এর ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে ৬৪ মেগাপিক্সেল সনি আইএমএক্স৬৮২ সেন্সর, ৮ মেগাপিক্সেল আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ২ মেগাপিক্সেল ম্যাক্রো ও ২ মেগাপিক্সেল পোর্ট্রেট সেন্সর। সনি আইএমএক্স৬৮২–এর রয়েছে অবিশ্বাস্য লাইট-সেন্সিং দক্ষতা এবং এর ১/১.৭৩ ইঞ্চি সুপার লার্জ সেন্সরের কারণে ছবি হবে উজ্জ্বল। স্মার্টফোনটির ১১৯ ডিগ্রি ফিল্ড অব ভিউ ব্যবহারকারীদের ল্যান্ডস্কেপ, আর্কিটেকচার কিংবা বড় গ্রুপ ছবিতে কারও বা কোনো কিছুর বাদ পড়ার দুশ্চিন্তা ছাড়াই অসাধারণ ছবি ধারণের সুযোগ করে দেবে।

রিয়েলমি ৭ প্রো–এর এআই বিউটিফিকেশন–সমৃদ্ধ ৩২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরায় ঝকঝকে বিউটি শট নেওয়া যাবে। অন্ধকারেও এর সুপার নাইটস্কেপ মোড ব্যালান্সড এক্সপোজার ও চমৎকার ডিটেইলে ব্যবহারকারীদের উজ্জ্বল সেলফি তোলার সুযোগ করে দেবে।

এসব স্পেসিফিকেশন ছাড়াও রিয়েলমি ৭ প্রো–এর ডিজাইনে রয়েছে অভিনবত্ব। এর ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যেন মনে হয় আয়নার ওপরে আলোর প্যাটার্ন। স্লিম ডিজাইন ফোনটিকে দিয়েছে প্রিমিয়াম লুক। ইন ডিসপ্লে ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার ছাড়াও ফেস আনলক, পিন ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে ডিভাইসটি আনলক করা যাবে। রিয়েলমি ৭ প্রোতে রয়েছে ডলবি অ্যাটমোস ডুয়াল-চ্যানেল আউটপুট, যা উচ্চ মানসম্পন্ন সাউন্ড এফেক্ট নিশ্চিত করবে।

বাজারের সেরা দুর্দান্ত চার্জিং সুবিধা ছাড়াও প্রিমিয়াম হার্ডওয়্যার ব্যবহারের কারণে রিয়েলমি ৭ প্রো ব্যবহারকারীর সব চাহিদা পূরণ করবে। বর্তমানে হাই এন্ড ডিভাইস স্মার্টফোনপ্রেমীরা যা প্রত্যাশা করে, তার সবই পূরণ করবে রিয়েলমি ৭ প্রো। ফোনটির বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ হাজার ৯৯০ টাকা।