কম্পিউটারে কতটুকু র‍্যাম দরকার

বর্তমানের কম্পিউটার, ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোনে মোটামুটি ১ থেকে ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত র‍্যাম যোগ করতে দেখা যায়। এর কম বা বেশিও হতে পারে। তবে প্রশ্ন হলো, ঠিক কতটুকু র‍্যাম আপনার দরকার? স্মার্টফোনে অন্যান্য যন্ত্রাংশের (কনফিগারেশন) সঙ্গে মিলিয়ে র‍্যাম ঠিক করে দেয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। আমাদের মূল আলোচনার বিষয় তাই কম্পিউটারের র‍্যাম নিয়েই।

প্রয়োজন বুঝে কম্পিউটারে র‍্যাম যুক্ত করুন
ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাম কতটুকু দরকার, তা নির্ভর করে দুটি বিষয়ের ওপর। প্রথমত, আপনি কী করতে চান। দ্বিতীয়ত, আপনি কত টাকা খরচ করতে ইচ্ছুক। যদিও এখানে আরও অনেক বিষয় নিয়ে ভাবার আছে, তবু একটা সাধারণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা যাক।

  • ২ গিগাবাইট র‍্যাম: মূলত সাধারণ স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটে এখন ২ গিগাবাইট বা তার কম র‍্যাম যুক্ত করতে দেখা যায়। ল্যাপটপ বা ডেস্কটপে তেমন না।

  • ৪ গিগাবাইট র‍্যাম: সাধারণ কাজের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটারগুলোতে এখন ৪ গিগাবাইট র‍্যাম ব্যবহার করে থাকে।

  • ৮ গিগাবাইট র‍্যাম: উইন্ডোজ এবং অ্যাপলের ম্যাক ওএসের জন্য চমৎকার। অল্পস্বল্প গেমিংয়ের জন্যও চালিয়ে নেওয়া যায়।

  • ১৬ গিগাবাইট র‍্যাম: পেশাদার কাজের জন্য দারুণ। বিশেষ করে ডেস্কটপ কম্পিউটারে। তুলনামূলক বড় গেমগুলোতে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

  • ৩২ গিগাবাইট এবং তার বেশি র‍্যাম: নাওয়া-খাওয়া ভুলে যাঁরা গেম নিয়ে পড়ে থাকেন, তাঁদের জন্য। অডিও-ভিজ্যুয়াল নিয়ে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা ৩২ গিগাবাইট থেকে শুরু করে আরও বেশি র‍্যাম ব্যবহার করে থাকেন।

র‍্যাম যেভাবে কাজ করে

মেমোরি বলতে অনেকেই সলিড স্টেট ড্রাইভ (এসএসডি) বা হার্ডডিস্ক ড্রাইভ (এইচডিডি) বুঝে থাকেন। অনেক সময় তো দোকানদারেরাও গুলিয়ে ফেলেন।

কম্পিউটারের মেমোরির বিষয়টি টেবিলের সঙ্গে তুলনা দেওয়া যেতে পারে। যেমন টেবিলের ওপরের তল যত বড় হবে, আপনি তাতে তত বেশি কাগজ ছড়িয়ে রেখে সব কটিতে একসঙ্গে নজর বোলাতে পারবেন। র‍্যাম তেমনই। আর হার্ড ড্রাইভ টেবিলের নিচে থাকা ড্রয়ারের মতো। ঠিক এখন ব্যবহার করা হচ্ছে না, এমন কাগজগুলো সেখানে জমা করে রাখতে পারেন।

যে প্রোগ্রাম নিয়ে এখন কাজ করা হচ্ছে, তা র‍্যামে সংরক্ষণ করা থাকে। আর যে সফটওয়্যারটি এখন ব্যবহার করা হচ্ছে না, তা থাকে হার্ড ড্রাইভে। বর্তমানের উচ্চ গ্রাফিকসের গেমগুলো অবশ্য র‍্যামের বদলে ভিডিও র‍্যাম বা ভির‍্যামে গেমের গ্রাফিকস ডেটা সংরক্ষণ করে।

কম্পিউটারে যত বেশি র‍্যাম থাকবে, একসঙ্গে তত বেশি প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে সাহায্য করবে। আবার অল্প র‍্যামেও অনেক বেশি সফটওয়্যার চালানো যায়। তবে সে ক্ষেত্রে কম্পিউটার ধীরগতির হয়ে যায়। তবু এখানে বলে রাখি, দরকারের যতটুকু, ঠিক ততটুকু র‍্যাম থাকা ভালো। বেশি লাগলে, পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত র‍্যাম যোগ করার সুযোগ তো থাকছেই।

সূত্র: ডিজিটাল ট্রেন্ডস