চলে গেলেন তারহীন যোগাযোগের অন্যতম পথিকৃৎ নরম্যান আব্রামসন

নরম্যান আব্রামসন
ছবি: হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের সৌজন্যে

তারহীন বা ওয়্যারলেস কম্পিউটার নেটওয়ার্কের অন্যতম পথিকৃৎ নরম্যান আব্রামসন মারা গেছেন। ৮৮ বছর বয়সে ১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোতে নিজ বাড়িতে তাঁর মৃত্য হয়। গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।

‘অ্যালোহানেট’ তৈরির জন্য পরিচিত ছিলেন আব্রামসন। এটি প্রথম যুগের ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক, যা পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি উদ্ভাবনে পথ দেখায়। এ প্রযুক্তি আধুনিক কৃত্রিম উপগ্রহ, মুঠোফোন ও কম্পিউটার নেটওয়ার্কে এখন ব্যবহৃত হয়।

নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, ত্বকের ক্যানসারে ভুগছিলেন আব্রামসন, যা তাঁর ফুসফুসেও ছড়িয়ে পড়েছিল।

অ্যালোহানেট আধুনিক তারহীন যোগাযোগপ্রযুক্তির ভিত্তি হয়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ইথারনেটভিত্তিক যোগাযোগপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা আছে।

হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক থাকাকালীন আব্রামসনের প্রথম প্রকল্প ছিল একটি রেডিও প্রযুক্তি তৈরি করা, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে স্কুলগুলোকে তথ্য আদান-প্রদান করতে সাহায্য করতে পারত। এ প্রযুক্তির উদ্ভাবনী দিকটি ছিল তথ্য প্যাকেট আকারে পাঠানো, যাতে স্থানান্তরের সময় তথ্য হারালে আবার পাঠানোর সুবিধা ছিল।

অ্যালোহানেট আধুনিক তারহীন যোগাযোগপ্রযুক্তির ভিত্তি হয়ে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ইথারনেটভিত্তিক যোগাযোগপ্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রেও এর ভূমিকা আছে।

কলেজের ব্লগে স্মৃতিচারণা করে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ল্যাসনার বলেছেন, আজ খুব কম লোকই আছেন, যাঁরা নরম্যানের মতো পুরো বিশ্বের যোগাযোগের ও তথ্য বিনিময়ের ক্ষেত্রে তাত্পর্যপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পেরেছেন।

নরম্যান হাওয়াই দ্বীপের সবাইকে পরস্পরের সঙ্গে ও পুরো বিশ্বের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন। হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর ধারণা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনি উত্তরাধিকার রেখে গেছেন।

১৯৩২ সালের ১ এপ্রিল বোস্টনে জন্মগ্রহণ করেন আব্রামসন। তিনি হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে ১৯৯৪ সালে অবসরে যান। তিনি সান ফ্রান্সিসকোতে অ্যালোহা নেটওয়ার্ক নামের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন, যেখানে প্রধান কারিগরি কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।