জাপানে প্রতি দুই স্মার্টফোনের একটি আইফোন

২০২০ সালের শেষ প্রান্তিকে জাপানে বিক্রি হওয়া মোট স্মার্টফোনের ৫২ দশমিক ৬ শতাংশ ছিল অ্যাপলের আইফোন। অর্থাৎ প্রতি দুটি স্মার্টফোনে একটির কিছু বেশি।
বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে জাপানেই আইফোনের জনপ্রিয়তার হার সবচেয়ে বেশি
আনস্প্ল্যাশ

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডেটা করপোরেশনের (আইডিসি) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জাপানে ৬০ লাখের বেশি আইফোন বিক্রি করেছে অ্যাপল, যা ২০১৯ সালের একই মেয়াদের চেয়ে ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপলের পরেই আছে জাপানের শার্প। চতুর্থ প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ১৪ লাখ স্মার্টফোন বিক্রি করে। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকলেও মোট স্মার্টফোন বিক্রির কেবল ১২ দশমিক ৪ শতাংশের দখল শার্পের। এদিকে বিশ্বব্যাপী অ্যাপলের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী স্যামসাং কেবল ৭ লাখ ৮১ হাজার স্মার্টফোন বিক্রি করেছে।

আর পুরো বছরের হিসাব কষলে, আইডিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী জাপানের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ও আইফোন। ২০২০ সালজুড়ে মোট ১ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার আইফোন বিক্রি হয়েছে জাপানে, যা দেশটির মোট স্মার্টফোন বিক্রির ৪৬ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৯ সালের সঙ্গে তুলনায় সেটি ৮ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি।

বছরের শেষ দিকে জাপানে আইফোনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির পেছনে একটা বড় কারণ আইফোন ১২ সিরিজের স্মার্টফোনগুলো। অবশ্য অ্যাপলের প্রথম ফাইভ-জি স্মার্টফোন বলে ব্যাপারটা অনেকটা অনুমিতই ছিল।

জাপানে অ্যাপলের অনুপ্রবেশ

জাপানে আইফোন চালুর প্রথম দিনগুলোর সঙ্গে বর্তমানের তুলনা করলে তফাতটা রাত–দিনের। জাপানিরা এমনিতে গ্যাজেটপ্রেমী বলে খ্যাত। তবে আইফোন বাজারে এলে সেটি তারা দীর্ঘদিন হাতে তোলেনি। কারণ, সেটি জাপানের তৈরি নয়।

অথচ এখন বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে জাপানেই আইফোন বেশি জনপ্রিয়। শতাংশের হিসাবে, এমনকি ‘জন্মস্থান’ যুক্তরাষ্ট্রেও এতটা জনপ্রিয়তা পায়নি আইফোন। জাপানি না হলে জাপানে চলে না বলে যে কথা প্রচলিত ছিল, তা ভুল প্রমাণ করেছে অ্যাপল। এখন জাপানি দুই প্রতিষ্ঠান শার্প ও সনির চেয়ে আইফোনের বিক্রি বেশি। শুধু বেশি নয়, ঢের বেশি।