ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালিত

চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে আইসিটি বিভাগ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায়।

চতুর্থবারের মতো পালিত হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস। এ বছর ডিজিটাল বাংলাদেশের এক যুগ হয়েছে। নানান আয়োজনের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের উদ্যোগে গত শনিবার ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালিত হয়।

শনিবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উদ্বোধন করেন। তিনি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘প্রযুক্তি উন্নয়নের হাতিয়ার। তাই অনুকরণের পরিবর্তে আমাদের উদ্ভাবনের ওপর জোর দিতে হবে।’

তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগানোর পাশাপাশি এর অপব্যবহার রোধে সক্ষমতা অর্জন করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, এ খাতে যুব সমাজকে প্রশিক্ষণ প্রদান করলে তারা দেশকে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। করোনার সময়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্ব প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে এই কঠিন সময়ে দূরে থেকেও পরস্পর সংযুক্ত থাকতে পারছে। চতুর্থবারের মতো ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালনের এই আয়োজন বিশেষ গুরুত্ব বহন করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে গ্রাম ও শহরের মধ্যে দূরত্ব হ্রাস পাচ্ছে।’

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের সফলতার পথ ধরে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে গত শুক্রবার রাতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ১২ বছর শীর্ষক’ ওয়েবিনারে তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির নানা দিক তুলে ধরে সজীব ওয়াজেদ বলেন, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার অনুযায়ী গত ১২ বছরে আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করে বর্তমানে যে অবস্থায় নিয়ে এসেছে, তারই সুফল পাচ্ছে দেশবাসী। করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ না থাকলে কী হতো, সে প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, ই-নথি, বিচারিক কার্যক্রমসহ বিভিন্ন কাজে ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার তুলে ধরেন তিনি।

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে সজীব ওয়াজেদ বলেন, দেশের অর্থনীতি মহামারির মধ্যেও ৭ শতাংশ বেড়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে জানান তিনি। সজীব ওয়াজেদ বলেন, সব ধরনের সমস্যাই আওয়ামী লীগ সরকার মোকাবিলা করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, দেশে এখন প্রায় ১২ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। সাড়ে তিন হাজার ইউনিয়নে ফাইবার অপটিক কেবল–সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা বাড়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সরকারের বিভিন্ন সাফল্যের কথা তুলে ধরেন তিনি।

‘যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে চতুর্থ ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল সকালে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের নেতৃত্বে আইসিটি বিভাগ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায়।

এ বছর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অবদান রাখার জন্য ১৫ ব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়।