পাঁচ মিনিটেই বৈদ্যুতিক গাড়িতে পূর্ণ চার্জ

একটি সাধারণ বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি পূর্ণ চার্জ হতে গড়ে সময় নেয় আট ঘণ্টা
আনস্প্ল্যাশ

ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে জ্বালানি ভরতে মিনিট পাঁচেক তো লাগেই। একই সময়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি পূর্ণ চার্জ করার প্রযুক্তি এল এবার। চোখ কপালে উঠতে পারে। কারণ, বৈদ্যুতিক গাড়ির চার্জার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান পড পয়েন্টের তথ্য অনুযায়ী, একটি সাধারণ বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি পূর্ণ চার্জ হতে গড়ে সময় নেয় আট ঘণ্টা। সেখানে চীনের এক কারখানায় এমন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি তৈরি করা হয়েছে, যার সাহায্যে ফিলিং স্টেশনে তেল বা গ্যাস ভরানোর মতো সময়েই ব্যাটারি চার্জ করা যাবে।

নতুন এই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি নিয়ে কাজ করছে ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠান স্টোরডট। আর নির্দেশনা মেনে এক হাজার নমুনা তৈরি করা হয়েছে ইভ এনার্জি নামের চীনা কারখানায়।

স্টোরডটের ব্যাটারিগুলো মিনিট পাঁচেকের মধ্যে পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে বলে দাবি করা হচ্ছে
স্টোরডট

বৈদ্যুতিক গাড়ির জনপ্রিয়তা বাড়লেও এখনো সমস্যা দেখা দেয় দীর্ঘ যাত্রায়। বর্তমানে বাজারে যে বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো চার্জ করতে আধা ঘণ্টা থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লাগে। আর তাই দীর্ঘ যাত্রায় গাড়ি চার্জ করার জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় করা এবং বারবার চার্জ করা চালকের জন্য চিন্তার বিষয় তো বটেই। একবার চার্জ করে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি গড়ে ২৫০ মাইল যেতে পারে। সে জন্য দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য বৈদ্যুতিক গাড়িকে জুতসই মনে করেন না অধিকাংশ চালক।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ু পরিবর্তন পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ২০৩৫ সালের মধ্যে সব গাড়িতে বিদ্যুতের ব্যবহার নিশ্চিত করা।

লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিতে ইলেকট্রোড হিসেবে গ্রাফাইট ব্যবহার করা হয়। নতুন এই ব্যাটারিতে গ্রাফাইটের পরিবর্তে অর্ধপরিবাহী ন্যানোপার্টিকল ব্যবহার করে চার্জ করার গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। স্টোরডটের পরিকল্পনা রয়েছে ইলেকট্রোড হিসেবে সিলিকনের ব্যবহার নিশ্চিত করা, যা তুলনামূলক সস্তা। ইলন মাস্কও গত সোমবার টুইটারে বৈদ্যুতিক গাড়িকে দ্রুত চার্জ করার বিষয়টি উল্লেখ করেন। যেখানে তিনি টেসলার দ্রুত চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করার কথা বলেন।

পাঁচ মিনিটে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি চার্জ করা সম্ভব হলে অনেক সমস্যার সমাধান করা যাবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্টোরডটের এই ব্যাটারি বাজারে আসতে এখনো কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।

সূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম