মার্কিন ভোট কারচুপির ভুয়া ভিডিও সরাবে ইউটিউব

ইউটিউব
রয়টার্স

মার্কিন নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির ফলে ভোটের ফল পরিবর্তন হয়েছে, এমন অভিযোগ করে যেসব ভুয়া ভিডিও কনটেন্ট ছাড়া হয়েছে তা সরিয়ে নেবে ইউটিউব। গতকাল বুধবার ইউটিউব কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইউটিউবের নীতিমালায় এ পরিবর্তন সব নতুন কনটেন্টের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভিডিওগুলোও এ তালিকায় পড়বে।

এর আগে মার্কিন নির্বাচনের এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ভিডিওর ক্ষেত্রে লেবেল লাগিয়ে দিত ইউটিউব। এর সঙ্গে সঠিক তথ্যের লিংক যুক্ত করে দিত।

ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বলছে, অনেক অঙ্গরাজ্যই নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে বেছে নিতে তাদের ভোটের ফলকে সঠিক বলে নিশ্চিত করেছে।

ডেমোক্র্যাটরা ইউটিউবের বিরুদ্ধে ভুয়া খবর ও ষড়যন্ত্রতত্ত্ব ছড়ানো ঠেকাতে যথেষ্ট ব্যবস্থা না গ্রহণের অভিযোগ করেছেন।

ফেসবুক ও টুইটার ইউটিউবের পথে হাঁটে কি না, তাই এখন দেখার বিষয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর রিপাবলিকান পার্টি নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছে। তবে ট্রাম্পের আইনজীবীরা এর পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করতে পারেননি।

গত মাসে বার্তা সংস্থা রয়টার্স একাধিক ইউটিউব চ্যানেল চিহ্নিত করে যেখানে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের বিষয়টি বড় করে তুলে ধরে বিজ্ঞাপন থেকে অর্থ আয়ের বিষয়টি তুলে ধরে।

ইউটিউব কর্তৃপক্ষ বলছে, গত সেপ্টেম্বর মাস থেকে তারা আট হাজারের বেশি চ্যানেল বন্ধ করে দিয়েছে। এসব চ্যানেলের বিরুদ্ধে নির্বাচনসংক্রান্ত ‘ক্ষতিকর ও বিভ্রান্তিমূলক’ ভিডিও আপলোড করার প্রমাণ পাওয়া যায়, যা তাদের নীতিমালার পরিপন্থী।

মার্কিন নির্বাচনের এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ভিডিওর ক্ষেত্রে লেবেল লাগিয়ে দিত ইউটিউব। এর সঙ্গে সঠিক তথ্যের লিংক যুক্ত করে দিত।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউটিউবের নতুন পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ অনেক রিপাবলিকানের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করতে পারে। তারা মনে করে, বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো কনজারভেটিভদের বিপক্ষে কাজ করছে।

ফেসবুক ও টুইটার ইউটিউবের পথে হাঁটে কি না, তাই এখন দেখার বিষয়।