মার্কিন সিনেটে প্রশ্নের মুখে ফেসবুক-টুইটার-গুগল প্রধান

ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ, টুইটারের জ্যাক ডারসি এবং গুগলের সুন্দর পিচাই
ছবি: রয়টার্স

বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেটের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে জবাবদিহি কম। বুধবার মার্কিন সিনেটরদের প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন ফেসবুক, টুইটার এবং গুগলের প্রধান নির্বাহীরা। তাঁদের সাড়ে তিন ঘণ্টার বেশি প্রশ্ন করেছেন সিনেটররা। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বর্তমানে ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীরা যেসব কনটেন্ট পোস্ট করেন সে বিষয়ে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না বা তারা কোন কনটেন্ট রাখবে বা সরাবে সে বিষয়েও ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।

রাজনীতিবিদেরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছেন, অপরাধ করেও দায় না নেওয়ার ফল এসব প্ল্যাটফর্ম প্রকারান্তরে খারাপ আচরণকে উত্সাহ দেয়।

তবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁদের বিষয়বস্তু নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হওয়ার জন্য আইন প্রয়োজন।

ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকান উভয় দলের প্রতিনিধিরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজি হওয়ার পর ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ, টুইটারের জ্যাক ডারসি এবং গুগলের সুন্দর পিচাইকে সিনেটের সামনে তলব করা হয়।

সিনেটররা সেন্সরশিপ এবং ভুল তথ্যের বিস্তার—উভয় সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

কিছু শিল্প পর্যবেক্ষক ‘২৩০ ধারা’ নামে পরিচিত আইনটি পুনর্মূল্যায়ন করার বিষয়ে সম্মতি জানান।

ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিওনা স্কট মর্টন বলেন, ডিজিটাল ব্যবসায় ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট পোস্ট করতে দেওয়া হয়। কিন্তু এগুলো ছড়িয়ে পড়ার পর সেগুলোর পরিণতিগুলো দায় নেয় না। এটা একধরনের প্রকাশনা। সংবাদমাধ্যমের ভিন্ন দায়িত্ব রয়েছে।

শুনানিতে মার্ক জাকারবার্গ বলেছেন, বিদ্যমান আইনের পরিবর্তনকে তিনি সমর্থন করেন।

আইনটির পক্ষে কথা বলেন গুগলের সুন্দর পিচাইও। তিনি বলেন, ‘২৩০ ধারার মতো আইনি অবকাঠামোর মধ্যে থেকেই কেবল আমাদের পক্ষে বিস্তৃত তথ্য তুলে ধরা সম্ভব।’