সবচেয়ে বড় কম্পিউটার চিপ

কম্পিউটার প্রসেসর
কম্পিউটার প্রসেসর

সবচেয়ে বড় কম্পিউটার প্রসেসর তৈরির দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সেরিব্রাস সিস্টেমস। ‘ওয়েফার স্কেল ইঞ্জিন’ নামের এই প্রসেসর আকারে আইপ্যাডের তুলনায় খানিকটা বড়। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, চালকবিহীন গাড়ি এবং নজরদারির সফটওয়্যারের মতো জটিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহারে একটি প্রসেসরই যথেষ্ট।

উদ্ভাবনটি কেন গুরুত্বপূর্ণ

দিন যত যাচ্ছে, প্রসেসরের আকার ছোটই হচ্ছে। এখন তো একসঙ্গে অনেক চিপ তৈরি করে পরে কেটে আলাদা করা হয়।

কম্পিউটারের সবচেয়ে শক্তিশালী সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটগুলোতে (সিপিইউ) ৩০টির মতো প্রসেসর কোর থাকে। একই সঙ্গে এর প্রতিটি আলাদাভাবে কাজ করতে পারে। গ্রাফিকস প্রসেসর ইউনিটগুলোতে (জিপিইউ) সাধারণত আরও বেশি কোর থাকে। সে কারণেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বেলায় জিপিইউকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। যত বেশি কোর হবে, পাশাপাশি একই সঙ্গে তত বেশি তথ্য প্রক্রিয়াজাত করা সম্ভব হয়।

সবচেয়ে শক্তিশালী জিপিইউয়ে প্রায় পাঁচ হাজার কোর রয়েছে। আর সেরিব্রাসের নতুন এই চিপে আছে চার লাখ কোর। কোরগুলোর মধ্যে উচ্চগতির সংযোগের ব্যবস্থা আছে। বেশি কোর থাকার সুবাদে কম বিদ্যুৎ খরচ করেও জটিল মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির জন্য স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারে। নির্মাতাপ্রতিষ্ঠানের ভাষ্য অনুযায়ী, জটিল তথ্য প্রক্রিয়াকরণের সময় মাস থেকে মিনিটে নামিয়ে আনবে ওয়েফার স্কেল ইঞ্জিন।

রয়েছে ভিন্নমত

সেরিব্রাস সিস্টেমসের তথ্য সঠিক হলে চিপটি যে দ্রুত কাজ করবে, তাতে সন্দেহ নেই। তবে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অনলাইন সাময়িকী আন্যান্ডটেক–এর সম্পাদক আয়ান কিউট্রেসকে কিছুটা উদ্বিগ্ন মনে হয়েছে। তিনি বলেছেন, ছোট কম্পিউটার চিপের সুবিধা হলো, এটি কম বিদ্যুতে কাজ করে, ঠান্ডা হয় দ্রুত। বড় চিপ নিয়ে কাজ করতে হলে বিশেষ অবকাঠামোর প্রয়োজন হবে। মানে, সবাই এর সুবিধা পাচ্ছে না। আর সে কারণেই এটিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজে লাগানোর কথা বলা হচ্ছে।

ওয়েফার স্কেল ইঞ্জিনের আগেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য বিশেষায়িত প্রথম চিপ তৈরি হয়েছে। ২০১৬ সালে গুগলের টেনসর প্রসেসিং ইউনিট তৈরি করেছে। পরের বছর কিরিন প্রসেসরে নিউরাল প্রসেসিং ইউনিট সুবিধা যুক্ত করার কথা বলেছে হুয়াওয়ে।