এইচএসসির প্রথম দিনে অনুপস্থিত ৫ হাজার ৫২২ পরীক্ষার্থী

সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরাছবি: আলীমুজ্জামান

আটটি শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে আজ বৃহস্পতিবার অনুপস্থিত ছিলেন ৫ হাজার ৫২২ জন পরীক্ষার্থী। আর বহিষ্কার হয়েছে চারজন। চট্টগ্রাম এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড বাদে বাকি আটটি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে চট্টগ্রামসহ তিনটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা পিছিয়ে ২৭ আগস্ট শুরু করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আজ প্রথম দিনে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন আট শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৪ জন। তাঁদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৯ লাখ ৪১ হাজার ৩২২ জন। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে ১ হাজার ৪৩৬ জন, রাজশাহীতে ৯৩১ জন, কুমিল্লায় ৬৫৫ জন, যশোরে ৬২৪ জন, সিলেটে ৪০৭ জন, বরিশালে ৩৮০ জন, দিনাজপুরে ৭৩৩ জন ও ময়মনসিংহে ৩৫৬ জন।

এবার পুনর্বিন্যাস করা পাঠ্যসূচি অনুযায়ী একটি বাদে সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা হচ্ছে। শুধু তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) পরীক্ষা শেষ সময়ে এসে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এদিন পরীক্ষা দেখতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা এপ্রিল মাসে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সাল থেকে শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলোভাবে চলছে। কখনো পরীক্ষা নেওয়া যায়নি, কখনোবা পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের পর নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে এসএসসি পরীক্ষা হয় ফেব্রুয়ারিতে আর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয় এপ্রিলে। এখন যদি নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়, তাহলে আগামী বছর থেকে স্বাভাবিক সময়ে ফিরবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা।

পরীক্ষার বিভিন্ন প্রস্তুতির কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আশা করেন, এবার কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং আন্তশিক্ষা বোর্ডগুলোর সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান তপন কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।