সুন্দরবনের প্রাণী
৪। প্রশ্ন: বিভিন্ন ধরনের বাঘ সম্পর্কে তুমি যা জানো লেখো।
উত্তর: বাঘ বললেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে রয়েল বেঙ্গল টাইগার। এ বাঘ দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনি আবার ভয়ংকর। এর চালচলনও রাজার মতো। সুন্দরবনের ভেজা স্যাঁতসেঁতে গোলপাতার বনে এ বাঘ ঘুরে বেড়ায়। শিকার করে জীবজন্তু, সুযোগ পেলে মানুষও খায়। একসময় সুন্দরবনে চিতা বাঘ ও ওল বাঘও ছিল।। প্রাণিবিদেরা বলেছেন, সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ। এ বাঘকে বিলুপ্তির হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে হবে।
৫। প্রশ্ন: দেশের জন্য পশুপাখি, জীবজন্তু কী উপকার করে, তা নিজের ভাষায় লেখো।
উত্তর: পশুপাখি ও জীবজন্তু প্রকৃতির পরিবেশের সঙ্গে মিলেমিশে থাকে। যেকোনো দেশের জন্যই জীবজন্তু ও পশুপাখি তাই এক অমূল্য সম্পদ। প্রকৃতির গাছপালা, বৃক্ষলতা ইত্যাদি প্রাকৃতিক পরিমণ্ডলেই সে দেশের পশুপাখি ও জীবজন্তু তথা প্রাণিকুলের জীবনধারণের উপকরণ-উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন শকুন পরিবেশের নানা আবর্জনা খেয়ে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখে। একইভাবে বিভিন্ন পশুপাখি ও জীবজন্তু আমাদের পরিবেশকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রেখে আমাদের উপকার করে থাকে।
৬। প্রশ্ন: শকুন কীভাবে মানুষের উপকার করে?
উত্তর: শকুন একটি ভিন্ন ধরনের পাখি। আচার-আচরণ ও স্বভাবের জন্য কেউ তাকে সুন্দর পাখি বলে না। অথচ এই শকুন মানুষের নানা উপকার করে থাকে। মানুষের পক্ষে যা ক্ষতিকর, সেসব আবর্জনা শুকুন খেয়ে ফেলে। আর সে কারণেই আমাদের চারদিকের পরিবেশ বসবাসের যোগ্য রয়েছে। শকুন প্রকৃতই এবং সত্যিকার
অর্থেই মানুষের উপকার ছাড়া অপকার করে না। তবে বাংলাদেশে শকুনের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এদের বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা