পঞ্চম শ্রেণি – বাংলা | সুন্দরবনের প্রাণী: প্রশ্নোত্তর (৭-৯)

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

সুন্দরবনের প্রাণী

৭। প্রশ্ন: পশুপাখি ও জীবজন্তু না থাকলে প্রকৃতির কী বিপর্যয় ঘটবে বলে তোমার মনে হয়?

উত্তর: পশুপাখি ও জীবজন্তু যেকোনো দেশের জন্যই এক অমূল্য সম্পদ। প্রাকৃতিক পরিবেশে এরা মিলেমিশে থাকে। পশুপাখি ও জীবজন্তু না থাকলে প্রকৃতির নানা বিপর্যয় ঘটবে। বন্যা, খরা, ঝড় ইত্যাদির কবলে পড়ে মানুষজনসহ সব প্রাণিকুল ও বৃক্ষলতা বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। তাই এদের ধ্বংস করতে নেই। এদের যত্ন ও সংরক্ষণে আমাদের সচেতন হতে হবে।

৮। প্রশ্ন: ক্যাঙারু কোথায় দেখা যায়?

উত্তর: প্রাণিজগতের এক বিচিত্র প্রাণী হলো ক্যাঙারু। একমাত্র অস্ট্রেলিয়াতেই এই প্রাণীটি দেখা যায়। এদের চারটি পা। পেছনের দুই পা বড় আর সামনের দুই পা ছোট। এ জন্য অন্যান্য চতুষ্পদ প্রাণীর মতো ক্যাঙারু হাঁটাচলা করতে পারে না। পেছনের দুই পায়ে ভর দিয়ে এরা লাফিয়ে লাফিয়ে চলে। বুকের নিচে একটা থলিতে এরা তাদের বাচ্চা রাখে। এই বিচিত্র প্রাণী ক্যাঙারু বললেই অস্ট্রেলিয়ার কথা মনে হয়।

৯। প্রশ্ন: সুন্দরবনে কি গন্ডার পাওয়া যায়?

উত্তর: প্রাণিজগতের আরেক বিস্ময় গন্ডার। এটি কালো রঙের চতুষ্পদ প্রাণী, উচ্চতায় ও লম্বায় গরুর আকারের। এদের নাকের ওপরে একটা শিং থাকে। ইংরেজ আমলের প্রথম দিকে, অর্থাৎ তিন শ বছর আগে, সুন্দরবনে গন্ডারের সংখ্যাধিক্য ছিল। কিন্তু সেই গন্ডার এখন নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ইংরেজ শাসক ও দেশীয় কর্মচারী এবং স্থানীয় দক্ষ শিকারি—সবাই মিলে ক্রমান্বয়ে গন্ডারের বংশ ধ্বংস করেছে। বিখ্যাত বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের ভ্রাতা নলিনীভূষণ রায় ১৮৮৫ সালে সুন্দরবনে শেষ গন্ডার দেখেছিলেন বলে জানা যায়। বর্তমানে সুন্দরবনে গন্ডার সম্পূর্ণভাবে অবলুপ্ত।

খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্​স লিট্​ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন