অধ্যায় ৮
প্রশ্ন: আমাদের সমাজে অনেক ক্ষেত্রে নারীদের বোঝা বলে গণ্য করা হয় কেন? নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আমাদের সরকারের তিনটি পদক্ষেপ লেখো।
উত্তর: যৌতুকের জন্য নারীরা নির্যাতিত হচ্ছে। এই কারণে সমাজে অনেকে নারীকে বোঝা হিসেবে গণ্য করে। নারী নির্যাতনের কারণে মেয়েদের শিক্ষা, বাইরে কাজের দক্ষতা বা সুযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আমাদের সরকারের পদক্ষেপ:
সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে নিচের কাজ করছে—
১. নিপীড়নের শিকার নারী ও শিশুদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে।
২. আইনি সহায়তা এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শসেবা প্রদান করছে।
৩. এ ছাড়া নির্যাতন দমনের জন্য ২০১২ সালে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রবর্তন করা হয়েছে।
তবে এ ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন প্রতিরোধে সামাজিক মূল্যবোধের উন্নয়ন জরুরি।
প্রশ্ন: নারী নির্যাতন মানুষ ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর। নারী নির্যাতনের নেতিবাচক প্রভাবগুলো কী?
উত্তর: বিশ্বে নারী-পুরুষের সমতা প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সনদ ও নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত নারী নির্যাতিত হয়। ফলে নারীর মানবাধিকার খর্ব হয়। সমাজে নারী নির্যাতনের প্রভাব অনেক ক্ষতিকর। যেমন—
১. পারিবারিকভাবে নারী নির্যাতন হলে নির্যাতিত নারীর শারীরিক, মানসিক
ক্ষতি হয়।
২. যেসব পরিবারের নারীরা নির্যাতনের শিকার হয়, যেসব পরিবারের শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধা পায়।
৩. নির্যাতিত নারী সময়মতো কাজে
যেতে পারেন না। ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।
৪. পারিবারিকভাবে নারী নির্যাতনের একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে যৌতুক। যৌতুক দিতে হয় বলে মেয়েশিশুকে পরিবারের বোঝা মনে করা হয়।
৫. রাস্তাঘাটে, বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথেও মেয়েরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মেয়েদের মানসিক বিকাশে।
বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল
রাবেয়া সুলতানা, িশক্ষক
বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা